বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফেলে আসা রোহিঙ্গাদের জমি লিজ দেবে রাখাইন সরকার

রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ হয়নি : জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ২ জুন, ২০১৮

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে এ কথা বলেন। এই সংগঠনটি আরো বলেছে, যদিও মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য অল্প কিছু সংখ্যক নাগরিককে যাচাই বাছাই করেছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাই কমিশনার অপারেশন জর্জ ওকোথ-ওবো বলেছেন, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি না যে, নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এমন নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান নেই। তিনি ৫ দিনের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। অপরদিকে, মিয়নামারের সেনাবাহিনীর কাঠামোবদ্ধ নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসার সময় অন্তত ৭০ হাজার জমি ফেলে এসেছে রোহিঙ্গারা। আর সেই কৃষি জমিতে গত বছর সরকারি উদ্যোগে চাষ করা হলেও এবার সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে দেশটি। মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা রাজ্য সরকার চায় এসব কৃষি জমি স্থানীয় কৃষক ও বেসরকারি কোম্পানিকে লিজ দিতে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এখবর জানিয়েছে। মিয়ানমারের অনেক স্থানে বছরে দুইবার ধান জন্মায়। বৃষ্টির মওসুম চলে আসাতে কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন করে চাষের। অন্যদিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ৭০ হাজার একর জমি। রাখাইন রাজ্যের আইনপ্রণেতা উ মং ওন বলেন, পরিত্যক্ত ফসলি জমিগুলো স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ইজারা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘জমিগুলো ফেলে রাখা ঠিক হচ্ছে না। স্থানীয় জনগণ ও ভূমিহীন কৃষকদের এই জমি চাষের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কিংবা কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও ইজারা দেওয়া যেতে পারে।’ রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে মোট ১ কোটি ১০ লাখ একর ধানের জমি আছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজার মংডুতে, ৭৭ হাজার বুথিয়াডংয়ে ও ৮৮ হাজার রথেডংয়ে। রাখাইনের কৃষি, খনন ও বনায়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উ কিয়াও লিন বলেন, ‘আমরা এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। তারা যা নির্দেশ দেবে আমরা তেমনটাই করবো। ৭০ হাজার একর জমিতে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল নেই আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, যেসব রোহিঙ্গারা পালিয়ে যায়নি, তারা নিজেদের জমিতেই চাষাবাদ করতে পারবে। ইরাবতি, রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
খোকন ২ জুন, ২০১৮, ২:০০ এএম says : 0
মিয়ানমারের কপালে খুব দুঃখ আছে
Total Reply(0)
২ জুন, ২০১৮, ৭:৩০ পিএম says : 0
ওদের বিচার আল্লা করবেন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন