ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপসাগরীয় দেশ কুয়েতের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যু্ক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিজের প্রস্তাবে নিজের ভোটটি ছাড়া আর কোনো দেশের সমর্থন পায়নি তারা।
প্রস্তাবে ভোট দিতে বিরত ছিল নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১১টি দেশ এবং রাশিয়া ও অন্য দুটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিজের ভোট ছাড়া আর কোনো ভোট পড়েনি।
মার্কিন প্রস্তাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
ইসরাইলের হামলার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধকে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছে। অথচ ইসরাইল সম্প্রতি গাজার অন্তত ৩৫টি অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
৭০ বছর আগে তাড়িয়ে দেয়া ভিটেমাটিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে গত দুই মাস ধরে চলা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে অন্তত ১২৩জনকে হত্যা করেছে অবৈধ রাষ্ট্রটির স্নাইপাররা।
১৯৪৮ সালে ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সাড়ে সাত লাখ আরব অধিবাসী নিজেদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত হন।
পার্শ্ববর্তী আরব দেশ, অধিকৃত পশ্চিমতীর ও অবরুদ্ধ গাজায় এসব আরবরা শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চলতে মাসের ১৪ তারিখে ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিলিস্তিনিরা।
এদিন ইসরাইলি স্নাইপাররা ৬২ নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়নি।
গাজা সহিংসতায় হামাসকে দায়ী করে মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে কোন দেশ ভোট দেয়নি।জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলকে দায়ী করতে আগ্রহী। কিন্তু গাজা সহিংসতায় তারা হামাসকে দোষারোপ করতে অনিচ্ছুক।
তিনি বলেন, আর কোন প্রমাণের দরকার নেই। এটা খুবই পরিষ্কার যে জাতিসংঘ ইসরাইলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করছে।
নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাশ হতে স্থায়ী সদস্যগুলোর ভেটো ছাড়া নয়টি ভোট পেতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন