প্রশাসনের ক্রসফায়ার ভয়ে মাদক ব্যাপারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তারা স্থান পরিবর্তন করে অন্যস্থানে অবস্থান করেছে কিন্তু মাদক ব্যবসা ছাড়েনি। ইয়াবা ব্যবসা, পাচারকাজসহ সব ধরনের মাদক জনিতকাজে তারা চলমান গতিতে রয়েছে। সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানের কঠোর অবস্থানের মধ্যে তারা আত্নগোপনে চলে গেলেও এসব শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চালাচ্ছেন তাদের নিকট স্বজনদের মাধ্যমে। কেউ কেউ ব্যবসা ঠিকিয়ে রাখতে এলাকার সহযোগীর মাধ্যমে গোপনে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ায় অন্তত ১৮ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। মাঝারি মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে শ খানেক। মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা অনুযায়ী তাদের বাড়িতে কিংবা আস্তানায় হানা দিচ্ছে। কিন্তু মাদকের গডফাদার কিংবা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গত ১৫ দিনে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও বন্দুকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তারা কেউ আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী নন। তবে পুলিশ বলছে, শীর্ষ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে উপরের নির্দেশ আছে। যেকোনো সময় তারা গ্রেপ্তার হবেন। মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর নাম ঘুরে ফিরে আসলেও তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতার ছত্রছায়ায় তারা এই মাদকব্যবসা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার স্থানীয়দের একাধিক তথ্য মতে, রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী উত্তর রাঙ্গুনিয়ার জলইক্ক্যা’র মাদকের নেটওয়ার্ক রাঙ্গুনিয়া, কাপ্তাই ছেড়ে চট্টগ্রাম মহানগর পর্যন্ত বিস্তৃত লাভ করেছে। তাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে দেশের শীর্ষ মাদক পাচারের ব্যাক্তিদের সাথে হাত।
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাটের জলইক্ক্যা তার বিপদগামী পুত্র ইকবাল তার বিলাশবহুল বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে আত্নগোপনে চলে গেছে। ক্রসফায়ার তালিকার আরো অন্যদুইজন গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের মাদক ব্যবসায়ী থেমে থাকেনি বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও রাঙ্গুনিয়ায় শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার না হওয়ায় উপজেলার তৃণমুলের আমজনতা মাঝে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছে। যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে মাদক নির্মূলে শীর্ষ মাদক কারবারিদের দ্রুত গ্রেফপ্তারের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন