শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

প্রবাস জীবন

লাইলাতুল কদর তালাশে ইতেকাফরত মুসলিমরা

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস শেষ দশকে পা দিয়েছে। আজ রমজানের ২২ তারিখ। আজ রাতে মুসলিমরা দ্বিতীয় রাতের মতো ইবাদতে মশগুল থেকে লাইলাতুল কদর তালাশ করবেন। তবে যারা ইতেকাফে মসজিদে অবস্থান করছেন তারা শেষ দশকের প্রতিটি রাতই ইবাদত করবেন। চান্দ্র মাসের হিসেবে বহু দেশে আজ ২৩ রমজান। তারা গতরাতে ইবাদতে মশগুল ছিলেন। আর ইতেকাফে রত মুসল্লিরাও ইবাদত করায় তাদের কোন মতেই লাইলাতুল কদর ছুটে যাবার আশঙ্কা থাকবে না।
এ মাসের রোজা, তারাবীর সালাত যেমন ইবাদত, তেমনিভাবে ই’তিকাফ রমজান মাসের একটি বিশেষ ইবাদত। যার মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভের সৌভাগ্য অর্জন করা সহজ হয়। রমজানের রোজা ব্রত পালনের চরম ও শেষ পর্যায় শেষের দশ দিন। এই সময়টির প্রতি মুহূর্তই হচ্ছে অমূল্য সম্পদ ইতেকাফের মাধ্যমে এর সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করা সহজ হয়। তাই মহানবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাহাবায়ে কেরামগণ এমন কি উম্মুল মুমিনীনরাও (রা.) এর সুযোগ হাতছাড়া করেননি। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, “যখন রমজানের শেষের দশদিন এসে যেত তখন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামদৃঢ় সংকল্প হতেন ও ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থেকে রাত কাটাতেন এবং পরিবারের লোকদেরকে জাগাতেন।” (সহীহ বুখারী, মুসলিম)। তিনি আরো বলেছেন, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামরমজানের শেষের দশকে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ইতেকাফ করেছেন এরপর তার স্ত্রীগণও উক্ত সময়ে ইতেকাফ করেছেন।” (সহীহ বুখারী, মুসলিম)। রাসুল করীম (সা.) এরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি রমজানে দশদিন ইতেকাফ করবেন সে যেন দুটি হজ্জ ও দুটি ওমরাহ করল।” অর্থাৎ দুটি হজ্জ ও দুটি ওমরার সওয়াব পাবে।
ইতেকাফের বিশুদ্ধতা পবিত্র কুরআন, হাদিসে নববী ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন, “তোমরা যখন মসজিদে ই’তিকাফ অবস্থায় থাক তখন আপন স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না।” (সুরা বাকারা, ১৮৭)। শুধু আমাদের নবীর সময়ে নয়, পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতদের মধ্যেও ইতেকাফ প্রচলিত ছিল। যেমন আল্লাহ পাক বলেন, “আমি ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আ.)-কে আদেশ করেছিলাম যে তোমরা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর।” (সুরা বাকারা, ১২৫)। রাসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় থেকে আজ পর্যন্ত কোন ফকীহ বা ওলামায়ে ইকরামগণের মধ্যে ইতেকাফ যে একটি বিশেষ ইবাদত এর মধ্যে কোন দ্বিমত নেই। রাসূল করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত আছে তিনি এরশাদ করেন, “তোমরা রমজানের শেষ দশদিনের মধ্যে বিজোড় রাত্রীগুলোতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর।” এ হাদিসের আলোকে আমরা এ কথার প্রমাণ পাই যে লাইলাতুল কদর পাওয়ার সুবিধার্থে রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করা উত্তম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিলন ৮ জুন, ২০১৮, ২:০৮ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার ইবাদাত করার তৌফিক দান করুক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন