মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবাস জীবন

নিম্ন আয়ের কর্মীদের জন্য গণইফতার একটি আশীর্বাদ

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য রমজান মানে কেবল ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি পানাহার ত্যাগই নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা যেখানে সবাই একত্মতা প্রদর্শন করে। মসজিদ ও অস্থায়ী তাঁবুর সমাবেশে এসব আরো দৃশ্যমান হয় যেখানে মুসলমানরা সওম পালনকারীদের ইফতার করাতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে অনেক নিম্ন আয়ের কর্মীদের, বিশেষ করে যারা তাদের পরিবারের কাছ থেকে দূরে অবস্থান করছেন তাদের জন্য এসব সমাবেশ হয় এক একটি আশীর্বাদ। আয়োজকরা অনুমান করেন, প্রতি বছর এসব সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মন্দার কারণে বা একত্রে ইফতার করতে পছন্দ করে বলে মানুষ বাড়তে পারে।
‘আরও বেশি লোক উন্মুক্ত স্থানে ইফতারির আয়োজন করে। সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদে প্রতিদিন ২ হাজার সওম পালনকারী খাবার গ্রহণ করে। মাঝে মাঝে আরও বেশি লোকের সমাগম ঘটে।
মাসকাট ডেইলিকে সুলতান কাবুস মসজিদের ইমাম শায়খ মোহাম্মদ সউদ আলফ্রেই জানায়, রমজান মাসে মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা নানাবিধ পুরষ্কারে ভূষিত করেন। বিশেষ করে যারা অন্যকে ইফতার করায় তাদের জন্য রয়েছে সওম পালনকারীর সমান সওয়াব। কিন্তু সওম পালনকারীর সওয়াব কমানো হয় না। একথা বলেছেন আমাদের মহানবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
অন্যসব মসজিদে প্রতিদিন প্রায় ৬টার দিকে বিভিন্ন জাতির মানুষ জড়ো হয় এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আনা ইফতারসামগ্রী প্রস্তুত শুরু করেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেজুর, লাবান এবং অন্যান্য উপাদান একত্র করেন। দাতাগণ সাধারণত তাদের নাম প্রচার করতে পছন্দ করেন না। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, একজন সওম পালনকারীকে খাদ্য খাওয়ানো উত্তম সেবা। মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য স¤প্রদায়ের ইফতারও অনুষ্ঠিত হয়। কেউ কেউ দৈনিক বা সাময়িক ইফতার করানোর জন্য তাঁবু টানিয়ে রাখে।
মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের আঞ্চলিক প্রধান নাজিব বলেন, ‘আমরা যত বেশি সম্ভব মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্য রাখি। এই বছর আমরা একটি তাঁবু স্থাপন করেছি এবং প্রতিদিন প্রায় ৬০০ মানুষকে ইফতার করানো হয়। এটি শেষ রমজান অব্যাহত থাকবে। এটা দানের মাসে আমাদের পক্ষ থেকে অঙ্গীকারের অংশ। রমজান মাসে ৭০ হাজারের বেশি বিশেষ ইফতার খাবার/কিট বিতরণ করা হয়। আমাদের কর্মীরা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আয়োজকদের মতে, তাদের ইফতার সামগ্রীর মধ্যে খেজুর, লাবান ও পানি ছাড়াও থাকে মুরগির বিরিয়ানী, সামুসা এবং ফল। এটি অনেক নীল রঙের কাপড় পরিহিত কর্মীদের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে যাদের পক্ষে সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর রান্না করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ।
ইফতারে অংশ নেয়া রাজমিস্ত্রী মোহাম্মদ ইয়াসিন বলছিলেন, ‘রমজান আমাদের অনেকের জন্য আশীর্বাদ, কারণ আমরা প্রতিদিন যে কোন মসজিদে খাবার গ্রহণ করি। আমরা দাতাদের চিনি না, কিন্তু আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তাদের উদারতার জন্য। হায়দেরাবাদী স¤প্রদায় সাময়িক ইফতারের আয়োজন করে যাতে ৩ হাজারেরও বেশি লোক অংশ নেয়। মোহাম্মদ জাকাউল্লাহ বলেন, এই সম্প্রদায় ২০০২ সাল থেকে এ ধরনের ইফতারের আয়োজন করে এসেছে। সূত্র : মাসকাট ডেইলি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন