মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভবন নির্মাণের ১০ বছরেও চালু হয়নি আবহাওয়া কার্যক্রম

লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লক্ষীপুরে ভবন নির্মানের ১০ বছর পরেও চালু হয়নি আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জেলার রামগতি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের চর সেকান্দর এলাকায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় অভ্যন্তীরণ নৌ-চলাচল পূর্বাভাস কেন্দ্রটি (আবহাওয়া অফিস)।
লক্ষীপুরের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকি নিয়ে কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করে এবং প্রায় ৬৫ হাজার জেলা ঝুঁকি নিয়ে নধীতে মাছ শিকার করে থাকে। দুর্যোগ মৌসুমে আগাম সতর্কতার জন্য আবহাওয়া অফিসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও নির্মাণের প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আবহাওয়া অফিসের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। অফিসটির কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় তাদের ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। সময় মতো পূর্বাভাস না পাওয়ায় প্রতি বছরই এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম চালু হলে সহজেই দুর্যোগের পূর্বাভাস মিলত। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম না থাকলেও সেখানে এক কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যায়ে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে তিনতলা একটি আবাসিক ভবন।
সরেজমিন দেখা যায়, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষদিকে। তবে মূল অফিসে কাউকে পাওয়া যায়নি। কক্ষগুলোয় তালা ঝুলছে। সামনের বারান্দায় আবর্জনার স্ত‚প। সামনের মাঠ পরিণত হয়েছে গোচারণভূমিতে।
খোঁজ জানা যায়, অফিসটি দেখভালের জন্য দু’জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হলেও তারা ঠিকমতো অফিসে আসেন না, মাস শেষে এসে পুরো মাসের হাজিরা তুলে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগতি পৌরসভা প্যানেল মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ভবন নির্মাণ করা হলেও অফিসের কোনো কার্যক্রম নেই। নেই প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্র। এ অবস্থায় নতুন করে আরো একটি ভবন নির্মাণ করার যৌক্তিকতা কী? প্রতি বছরই জনবল নিয়োগ করে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও তা হচ্ছে না।’
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসটি চালু না হওয়ায় উপকূলীয় এ জেলার মানুষ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম সতর্কতা বার্তা পাচ্ছেন না। নতুন করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী বলেন, আবহাওয়া অফিস চালু না হতে আরেকটি ভবন নির্মাণের বিষয়টি তারও জানা নেই। কার্যক্রম চালুর বিষয়ে জানতে আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসারদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। আশা করি, খুব দ্রুত যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ করে আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম চালু করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন