ঈদের আগে রাস্তায় নামছে লক্কর ঝক্কর বাস। ফলে সড়কে বাড়ছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। ঈদকে ঘিরে কিছু পরিবহন মালিক ফিটনেসবিহীন ও লক্কর ঝক্কর গাড়িতে রঙের প্রলেপ লাগিয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে এসব গাড়িযোগে কেউ কর্মস্থলে, কেউ কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছে। অপরদিকে নগর থেকে নাড়ির টানে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা। মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট এলাকার কিছু গ্যারেজে চলছে লক্কর ঝক্কর গাড়ি মেরামতের তোড়জোড়। ঈদে যানবাহন সঙ্কটকে পুঁজি করে কিছু অতিলোভী পরিবহন শ্রমিক ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাতে পরিবহন মালিকদের উৎসাহিত করছে।
পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, রঙ শুকিয়ে গেলেই দু’তিন দিনের মধ্যেই মহাসড়কে নামানো হবে। এতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি রাস্তায় বেড়ে যাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বারইয়াহাটের একটি ওয়ার্কশপে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথের জায়গাতেই স্থাপিত কিছু গ্যারেজ দীর্ঘদিন হাসপাতালের সামনেই চালিয়ে যাচ্ছে ওয়েল্ডিংসহ শিশু ও মহিলাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নানান কাজ। আবার চট্টগ্রাম বারইয়াহাট রুটের চয়েস, উত্তরাসহ লক্কর ঝক্কর ও ভাঙ্গাচোরা অনেক বাস সেখানে তড়িঘড়ি করে জোড়াতালি দিয়ে রঙ করার কাজ চলছে। এ ব্যাপারে ফোরলেনের চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, গাড়ির ফিটনেসের বিষয়টি বিআরটিএর বিষয়। আর হাসপাতালের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গ্যারেজের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান, বিআরটিএ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা এসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা জরুরী।
মন্তব্য করুন