প্রতি ঈদেই বর্ণাঢ্য ‘ইত্যাদি’র পাশাপাশি বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত একটি নাটক নির্মাণ করেন। হানিফ সংকেতের এবারের ঈদের নাটকের নাম ‘বিশ্বাসের নিঃশ্বাস নাই’। প্রচার হবে এটিএন বাংলায় ঈদের দিন রাত ৮:৩০ মিনিটে। হানিফ সংকেতের ঈদ নাটকের নামে ও গল্পে যেমন ভিন্নতা থাকে তেমনি আলাদা স্বাদ ও বৈচিত্র্য থাকে। পাশাপাশি থাকে একটি সামাজিক বক্তব্য। তাই হানিফ সংকেতের নাটক দেখার জন্য দর্শকদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। নাটকটির ধারণ করা হয় মিরপুরের ফাগুন অডিও ভিশনের নিজস্ব কমপ্লেক্সে। দু’টি পরিবার নিয়ে রচিত একটি পারিবারিক গল্প নিয়ে এই নাটক। নাটকের গল্পে দেখা যাবে শফিক সাহেব এবং দুলাল সাহেব দু’টি পরিবারের প্রধান। শফিক সাহেবের দু’টি মেয়ে এবং দুলাল সাহেবের দু’টি ছেলে। শফিক সাহেবের দুই মেয়ে দুই মেরুর। একজন অতি আধুনিক আর একজন সহজ-সরল। দুলাল সাহেবের ছেলেরাও তেমনি। এই দুই পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে শফিক সাহেব এবং দুলাল সাহেবের পরিবারের মধ্যে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা-এইসব ঘটনা নিয়েই রচিত হয়েছে হানিফ সংকেতের এবারের ঈদের নাটক ‘বিশ্বাসের নিঃশ্বাস নাই’। এই ধরনের নামকরণ কেন জানতে চাইলে হানিফ সংকেত বলেন, ‘আমরা বলি নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নাই আর সেজন্যেই পথেঘাটে মানুষ মরে-অকালে প্রাণ ঝরে, তেমনি অবিশ্বাসের চক্করে পরে কথায় কথায় বিশ্বাস মরে। সুতরাং বলা যায়, এখন বিশ্বাসেরও নিঃশ্বাস নাই।’ নাটকের গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়েই এটি একটি পারিবারিক গল্প। আজকাল নাটকে কোন বাবা-মা’র চরিত্র দেখা যায় না। কিন্তু আমার নাটকে একটি নয় বাবা-মা-ভাই-বোন নিয়ে রয়েছে দু’টি পরিবার। আর পরিবারের সদস্যদের নিয়েই এই নাটক।’ নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, মীর সাব্বির, আনিসুর রহমান মিলন, নওরীন হাসান খান জেনী, মোনালিসা, জিয়াউল হাসান কিসলু, শিরিন আলম, শামীম, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ সাজু, রিমুসহ আরো অনেকে। নাটকের সূচনা সঙ্গীতের কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মেহেদী। কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই। এটিএন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবারই হানিফ সংকেতের নাটকে আমাদের দর্শক থাকে বেশি। ঈদের দিনের ব্যস্ততা সত্তেও দর্শকরা এই নন্দিত নির্মাতা’র নাটক দেখতে বসেন। কারণ সবাইকে সব চ্যানেলে একাধিকবার দেখা গেলেও ঈদের দিন হানিফ সংকেত এর নাটক দেখা যায় শুধুমাত্র এটিএন বাংলায়। তাই আমাদের বিশ্বাস বরাবরের মত এবারও এসময় এটিএন বাংলার দর্শক থাকবে সবচেয়ে বেশি।