ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঈদের বিশেষ রিলিফ (ভিজিএফ) চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৫ হাজার ৯১২টি অতিদরিদ্র পরিবারের ঈদের খুশির জন্য ১০ কেজি হারে কার্ডের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ৫৯ মেট্রিক টন ১২০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তুফা দরিদ্রদের চাল সঠিকভাবে বিতরণ না করে ওজনে কম দেওয়াসহ সুকৌশলে কালোবাজারে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তুফা অধিকাংশ নিজের কাছে রেখে তার ছেলে লিমন ও ছোট ভাই আবুল কালামের মাধ্যমে বস্তা পরির্বতন করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। গত বুধবার বিকালে এলাকাবাসী যমুনার দুর্গম চর এলাকা তারতাপাড়া গ্রামে কালোবাজারে বিক্রিত চাল বোঝাই একটি অটোবাইক আটকে রেখে সাংবাদিকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের ছেলে লিমন গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে পাশ^বর্তী মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বাজারে পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তুফা কালোবাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-ভুক্তভোগীরাই ওইসব চাল বিক্রি করেছে। ভিজিএফ বিতরণের রিলিফ অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) আব্দুল গফুর খান এ সময় চেয়ারম্যানের বাড়িতে বিশ্রাম করছিলেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা কোন সমস্যা না। উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রাণ শাখার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন