বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা
বানারীপাড়ায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে নির্যাতন, ঠিকমত খাবার ও বেতন না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাজেম ব্রিকসে র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে শিশুসহ ১৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করেছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার ও কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা আ.লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজেম আলী হাওলাদার এবং তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ফোরকান হাওলাদার ওই ব্রিকস পরিচালনা করছেন। উদ্ধারকৃতদের সকলের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার হাজরাকাঠিতে। উদ্ধারকারী দলের সদস্য হালিম খা জানান, এরা সবাই ইটভাটার কাজে গত ৬ মাস আগে আসে। কিন্তু চুক্তিমতো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় এরা চলে যেতে চাইলে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। এর মধ্যে খলিল খা নামে এক শিশু শ্রমিকের হাত ভেঙে দেওয়া হয়। ১৩ শ্রমিককে ইটভাটার মধ্যে আটকে তাদেরও খাওয়া পড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নির্যাতনের শিকার শ্রমিকদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে র্যাব এ উদ্ধার অভিযানে নামে। উদ্ধারকৃতরা হচ্ছেন খলিল খা, কামরুল ইসলাম, আবদুর মজিদ গাজী, সোহেল খা, আফজাল হোসেন, নুপুর সরদার, গফুর সরদার, রফিকুল বিশ্বাস, কালাম মোড়ল, হামিদ খা, মাহাবুব রহমান, সিরাজ গাজী, মুথা সরদার। ইটভাটার আটককৃত ২ জন হলো সাইট ম্যানেজার মিলন বাহাদুর ও ইটভাটার দালাল কবির মোড়ল। এদের মধ্যে কবির মোড়লের বাড়িও সাতক্ষীরায়। র্যাব-৮ এর কমান্ডার লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানের মাধ্যমে ১৩ শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, আটক ওই দুইজনসহ উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের বানারীপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। ইটভাটার পরিচালক উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ফোরকান হাওলাদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে এটা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন