প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইনে প্রস্তুত করা হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পে মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তারা যেমন আছেন, সাংবাদিকরাও আসছেন প্রত্যাবাসন সংμান্ত প্রতিবেদনের খোঁজে। তবে চুক্তি অনুযায়ী যাদের ফিরবার কথা, সেই রোহিঙ্গাদেরই কেবল দেখা মেলে না। প্রতিদিন দেড়শ’ জন রোহিঙ্গাকে গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ছিল মিয়ানমারের। তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বড়জোর ২০০ জনের প্রত্যাবাসন সম্পনড়ব হয়েছে। নেপিদো অনেক রোহিঙ্গাকে এরইমধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে দাবি করলেও এ সংμান্ত ২টি সাজানো ঘটনা ধরা পড়েছে তাদের। আসলে প্রত্যাবাসন শুরুই হয়নি। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না মিয়ানমার। গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগিড়বসংযোগের মুখে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হওয়া এসব রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন। স্বাক্ষরিত প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী দিনে ১৫০ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করার কথা ছিল মিয়ানমারের। এজন্য ট্রানজিট ক্যাম্পও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ই খালি পড়ে থাকে ক্যাম্পগুলো। মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তারা কাগজপত্র নিয়ে এই ট্রানজিট ক্যাম্পে অপেক্ষা করেন। প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন সাংবাদিকরা। কেবল রোহিঙ্গাদের দেখা মেলে না সেখানে। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন