মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধামন্ত্রীর পুরস্কার পাচ্ছে তিন মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় তিন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে এ পুরুস্কার দেয়া হবে। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কি কাজ করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে পৃথক ভাবে অঙ্গীকার নামা স্বাক্ষর করবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এনএম জিয়াউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) বলেন, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে পঞ্চমবারের মতো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ আবশ্যিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্যের আওতায় গৃহিত কার্যক্রম এবং সব কার্যক্রমের সূচক ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয় এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনুযায়ী নম্বর দেয়া হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এপিএ চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
জিয়াউল আলম বলেন, ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে। এরপরই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের অর্জন ৯৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট। আর ৯৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ৪৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ ৮০’র উপরে নম্বর পেলেও ৮০’র নিচে নম্বর পেয়েছে দুটি মন্ত্রণালয়। ৮০’র উপরে নম্বর পাওয়া মন্ত্রণালয়গুলোর গড় নম্বর ৯১ দশমিক ৪০। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরেও রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি প্রকল্প, পিপিপির আওতায় গ্রহণ করা প্রকল্প, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তাদের আওতাধীন অধিদফতর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলো চুক্তি সম্পাদন করবে।
অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা এতে স্বাক্ষর করবেন। সিনিয়র সচিব ও সচিবরা চুক্তি সইয়ের পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবেন। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংগে অধীনন্ত দফতর, সংস্থা কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতর, সংস্থা ছাড়াও বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের দফতরকে এপিএ চুক্তির আওতায় আনা হয়। বিগত সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জন করতে পেরেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্ম সম্পাদক চুক্তি বাস্তবায়নে প্রাপ্ত গড় নম্বর ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন