মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট কারাবন্দি মোহাম্মদ মুরসিকে এক ‘রাজকীয় প্রস্তাব’ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
প্রস্তাবটি হচ্ছে, মুরসি যদি পরিবারসহ মিসর ছাড়েন, তাহলে বিদেশে তাকে সুখ ও আরাম-আয়েশের জীবন উপহার দেয়া হবে। কিন্তু সিসির এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মুরসি।
জবাবে তিনি বলেছেন, যারা মিসরকে ধ্বংস এবং জনগণের মানবাধিকার হরণের পরিকল্পনা করছে মিসরের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে কোথাও যাবেন না তিনি। মিসরের আপিল আদালতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বুধবার মিডল ইস্ট মনিটরে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
মিসরের আপিল আদালতের আইনি পরামর্শক ও মুরসি সরকারের বিচারমন্ত্রী আহমেদ সুলেমান বলেন, বর্তমান সেনাশাসিত সরকারকে স্বীকৃতি এবং তার নিজ সরকারের বৈধতা প্রত্যাহার করে ঘোষণা দিতে মুরসির ওপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিনিময়ে তাকে বিদেশে নিরাপদ জীবনের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব চাপের কাছে নতি স্বীকার করছেন না মুরসি।
সিসির সরকারের বৈধতা দিয়ে বিবৃতি দিতে গত পাঁচ বছর ধরে মুরসিকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মুরসির ছেলেরও। মুরসির ছেলে আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখনও বৈধতা রয়েছে তার বাবার। তিনি ওইসব নেতার কাছে কখনও নত হবেন না যারা সব সময় তাকে তাদের কথা মেনে নিতে চাপপ্রয়োগ করছেন।
কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ২০১১ সালে দীর্ঘ সময়ের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটে। এরপরের বছর অনুষ্ঠিত এক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুরসি।
কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সাবেক সেনাপ্রধান সিসি। মুরসিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন