বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের কোনো বন্ধু নেই -আলী রীয়াজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ৯:২৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা আলোচনা হয় সেটা হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আবার হবে কিনা তা নিয়ে সবার মধ্য একটা আশংকা কাজ করছে। এ নিয়ে সবার মধ্য অস্থিরতা এবং ভয় কাজ করছে। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। তবে আমার মনে হয় অতীতের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বেশি রাজনৈতিক সংকট চলছে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কোনো বন্ধু নেই।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান যথেষ্ট। কিন্তু ভারত সব সময় বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। আর এটা বুঝতে প্রণব মুখার্জির বই যথেষ্ট। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূলত অম্ল­মধুর মতো।
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন না হলে কট্টর ইসলাম পন্থীদের প্রভাব বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এখন বলছে এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা? তবে তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো সকল দল নির্বাচনে যাবে কিনা। গণতন্ত্রের এই একটা বিষয় নিয়ে সবাই ভাবছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে কারোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই এটাই আমাকে অবাক করে। অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনা হওয়া উচিৎ।
বৈশ্বিক ভাবে এখন বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা একটি ভিন্ন মর্যাদা এনে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। সেখানে ভারতও প্রতিযোগী হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রকৃত অর্থে তারা পেরে উঠছে না। তাদের সাথে বাংলাদেশ ছাড়া আর কেউ নেই। এখানের সব বিষয়েই তাদের যতটুকু দৌরাত্ম্য রয়েছে। এটা আর কোথাও নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হলেই যে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বিষয়টা আসলে তা নয়। ১৯৯১ সালেই সিভিল সোসাইটিকে দলীয় করণ করা হয়েছে। এতে করে সিভিল সোসাইটির মধ্য বিভক্ত তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দশকে নতুন করে শ্রেণি বৈষম্য বেড়েছে। সুইস ব্যাংকে টাকা তো বাংলাদেশীরাই রাখছে। কিন্তু সেটার কোনো ব্যাখ্যা রাষ্ট্রের কাছে নেই। বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক উপাদান হলো ভারত বিরোধিতা করা আর ক্ষমতাসীনদের ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ এসব একেকটা অর্থ বহন করে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর ফেলো রাষ্ট্র বিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেন, বিশ্ব নেতৃত্ব দেখছে শুধু তরুণদের। ওবামা জাস্টিন ট্রুডোরা যখন তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছে তখন বাংলাদেশ শুধু বুড়োদের খুঁজে বেড়ায়। তরুণদের প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের মেধার মূল্যায়নের বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হবে।
রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে। রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের সভাপতি আরিফ খান, নির্বাহী প্রধান জুলফিকার ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
S.M Nazrul Islam ৬ জুলাই, ২০১৮, ১০:৫৩ পিএম says : 0
বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু নয়-আওয়ামীলীগ ভারতের তল্পীবাহক।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:৪৩ এএম says : 0
বাংলাদেশ কি ভাবে যে ভারতের বন্ধু হয় আমার বুজে আসে না। বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু হইতেই পারে না। তার প্রমান বাংলাদেশের সাথে ভারতের আচরণ। দেখেন। দুনিয়ার ইতিহাসে এমন কোন বন্ধু নাই যে বন্দুকে খোন করে আর শুধু বন্ধুকে লুঠ করে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অরজন হইতে আজ পরয্যন্ত ভারত আমাদের সাথে কি ব্যবহার করিয়াছে? আর করিতেছে দেখেন ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে আর যে তিস্থা সহ বাঁধ,কত মানুষ হত্যা সহ লক্ষ কুটি টাকার সম্পদের ক্ষতি, ভারত করিতেছে। এখন চিন্তা করেন। ইনশাআল্লাহ,। ************* যেভাবেই হোক আমরা আমাদের ক্ষতি পূরণ ভারত হইতে আদায় করিব। ইনশাআল্লাহ। ************
Total Reply(1)
Anjum ৭ জুলাই, ২০১৮, ১০:৫০ এএম says : 4
আল্লাহ হুম্মা আমিন। আপনার দোয়াই আমাদের দোয়া, আল্লাহ ন্যায় বিচারক, এসবের বিচার অবশ্যই হবে। তখন এসব ......দের খুঁজে পাবেন না।
Miah Adel ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৫৪ পিএম says : 0
Government is friendly, but not people.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন