ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ভাটবাড়িয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ এক সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৭ জনকে ফরিদপুর ও ১৫ জনকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের শৈলকূপা হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে আওয়ামীলীগ নেতা মামুন ও আজিজ সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। গ্রামবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্বের ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে ভাটবাড়িয়া, তেঘড়িয়া, নাদপাড়া ও ভুলন্দিয়া গ্রামের লোকজন দেশীয় তৈরি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আব্দুল আজিজের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ভাটবাড়িয়া গ্রামের লালচাঁদ, রেজাউল, আমবিয়া, মোক্তার, আক্তার, জামাল, মনিরুল, আনছার, রিপন, গোলাম নবী, শাহিন, রাসেল, আনোয়ার, রফি উদ্দিন, ইমরান, মশিউর, আক্তারুজ্জামান, মর্জিনা, বদরুজ্জামান, হিরক, রায়হান, রিয়াজুলসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ভয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকূপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি জানান, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আজিজুর রহমান মেম্বর ও আফজাল হোসেনের সামাজিক দল রয়েছে। দু’দলই আওয়ামী লীগ সমর্থক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা চলে আসছে। গত ১ জুলাই দু দলে সংঘর্ষে ৩ জন আহত ও ২০টি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর হয়। শৈলকূপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামটিতে দীর্ঘদিন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থকদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই বিবাদের জের ধরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে ওসি জানান। তিনি আরো বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করায় বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন