মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

থামছে না তান্ডব

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় থামছে না বন্যহাতির তান্ডব। অব্যাহত তান্ডবে বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আর পুন:পুন বন্যহাতির আক্রমনে দেয়াঙ পাহাড়ের আশপাশে এলাকা আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। এবার উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের জয়নগরপাড়া ও কালাগাজীর পাড়ায় তান্ডব চালিয়ে কয়েকটি বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে বন্যহাতি। গতকাল সোমবার ভোর রাত ৩টায় ওই ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্যহাতির আক্রমনে একই ইউনিয়নের চাঁপাতলী এলাকার খাদিজা বেগম (৫৫) নামের এক নারী গুরুতর আহত হন। ওই সময় এলাকার বাঁশঝাড়, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতিসহ বেশকিছু পাকা দেয়াল ভেঙে চুরমার করে বন্যহাতির পাল। এছাড়া বৈরাগ, বটতলী ও বারশত ইউনিয়নের কোনো না কোনো গ্রামে প্রতিদিনই তান্ডব চালিয়ে বসতবাড়ি ও ফসল বিনষ্ট করে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, মাস খানেক আগে দলছুট বন্যহাতির পাল উপজেলার বৈরাগ ও বটতলী ইউনিয়নে অবস্থিত দেয়াঙ পাহাড়ে প্রবেশ করে। দিনের বেলায় হাতির পাল পাহাড়ের উচু টিলায় অবস্থান করলেও সন্ধ্যার পরেই নেমে আসে লোকালয়ে। রাতভর চালায় তান্ডবলীলা। এ সময় গাছপালা,সবজি ক্ষেত ও জমির ফসল মাড়িয়ে সাবাড় করে ফেলে। তাড়াতে গেলেই বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। ফলে এসব এলাকার মানুষের দিন কাটছে শঙ্কায় আর রাত কাটছে নির্ঘুম।
এলাকাবাসী জানান, লোকালয়ে বন্যহাতি দফায় দফায় তান্ডব চালিয়ে অভিনব কায়দায় কলা-কাঁঠাল সাবাড় করে যাচ্ছে। এসব হাতির কবল থেকে বিভিন্ন ফলজদ্রব্য রক্ষা করার চেষ্টা করলে উপরোন্তু বন্যহাতি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি অঞ্চল) জাহিদুল কবির সম্ভাব্য আক্রমন থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দিয়ে ইনকিলাবকে জানান, দেয়াঙ পাহাড়ে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠায় বন্যহাতিরা বিচরণ করতে পারছে না। তাই এদিক-সেদিক ছুটে লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতির পাল যে পথে আসছে সে পথে নেয়ার জন্য বন্যপ্রাণি বিভাগের একটি টিম সেখানে কাজ করছে। আমরা যথেষ্ট আন্তরিক নিয়ে কাজ করছি। তবে কিছুদিন সময় লাগবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন