বানারীপাড়ার গাভা-নরেরকাঠী গ্রামের জনসাধারণের দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভাংগা বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ওই এলাকা হিন্দু অধ্যূষিত হওয়ায় এলাকার জনগণ উন্নয়ন কর্মকাÐ থেকে বঞ্চিত। তারা ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড়াপাড় হচ্ছে। উপজেলার পশ্চিম গাভা বধ্যভূমির সামনে জনগুরুত্বপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটি এখন জনসাধারণের মারণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বগাভা ও নরেরকাঠী গ্রাম দু’টি ঝালকাঠী সদর উপজেলায় অর্ন্তভুক্ত এবং অবহেলিত ছিল। তখন ওই এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
নব্বইদশকের প্রথম দিকে গ্রাম দু’টির জনসাধারণ প্রশাসনিক কাজের জন্য সুবিধাজনক হওয়ায় ঝালকাঠী সদরের চেয়ে পাশবর্তী বানারীপাড়া উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে গ্রাম দু’টি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
এলাবাসীরা জানান, এ সাঁকোটি ২ গ্রামের জনবসতীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনিয়তা থেকেই এলাকাবাসী খালটির উপর নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেছে। অথচ প্রতিবার ভোটের সময় প্রার্থীরা প্রচারণায় এসে পশ্চিম গাভা বধ্যভূমির সামনে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ভোট শেষে তার কোন বাস্তব প্রতিফলন কখনো দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর জানান, গাভা ও নরেরকাঠী এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে এবং এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন