বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিধ্বস্ত হালদা সেতু দ্রুতই নির্মাণ করা হবে

ফটিকছড়িতে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী, ফটিকছড়ি থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম


 গত সোমবার দুপুরে বন্যাউত্তর ক্ষত-বিক্ষত ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকা ও বিধ্বস্ত প্রায় দেবে যাওয়া ঐতিহাসিক শতবর্ষী নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতু পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। এসময় ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত এমপি আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রকল্প পরিচালক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, এলজিইডি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায়, নাজিরহাট পৌর মেয়র এসএম সিরাজুদ্দৌল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ হলরুমে জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ফটিকছড়ি’র ইউএনও দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ফটিকছড়ি সংসদীয় আসনের এমপি ও চৌদ্দ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা আলহাজ¦ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, ফটিকছড়িতে শুধু এলজিইডি’র ১৯২ কিলোমিটার রাস্তা এবারের বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে; যার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা। সওজ, পাউবোসহ অন্যান্য সেক্টরের ক্ষয়-ক্ষতি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। শত বছরেও এমন হঠাৎ বন্যা ফটিকছড়িতে হয়নি।
তাই ফটিকছড়িবাসীর পক্ষে নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতুসহ ক্ষতিগ্রস্থ সব সড়ক অতিদ্রæত নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি। প্রধান বক্তার বক্তব্যে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাকে বন্যার সময় এমপি মহোদয় ফোন করে ক্ষয়-ক্ষতির ভয়াবহতা অবহিত করে সরেজমিনে পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাই আজকে এসেছি। এসেই গ্রামীণ সড়কের ভয়াবহ বিধ্বস্ততা দেখে আমি স্তম্ভিত। শত বছরের নাজিরহাট পুরোনো হালদা সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ। দু’পারের জনগণের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস এবং প্রবাহমান ছোট-বড় নদী-খাল ভরাট হয়ে পাহাড়ী ঢল অনায়াসে নেমে আসতে পারছে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাদদেশের উপজেলা গুলো পাহাড়ী ঢলের হঠাৎ বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত এবং বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। এসব বিষয় গুলো মাথায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ সমন্বয়ে ফটিকছড়ি’র জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং বরাদ্দ নিতে হবে। তবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামীণ সড়ক গুলো দ্রæত সংযোগ স্থাপন করা হবে। শতবর্ষী দেবে যাওয়া ঐতিহাসিক ‘নাজিরহাট পুরোনো হালদা সেতু’ অতিদ্রæতই নির্মাণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন