বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে বাধ্য করা হবে -মঈন খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৮, ২:৩৮ পিএম

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ড্যাব এর আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে সরকারকে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধ্য করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। ইনশাআল্লাহ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া চতুর্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রী হবেন। মঈন খান বলেন, আমরা কোথাও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারিনা।
জাতীয় প্রেসক্লাব বা দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেখানেই যে কর্মসূচি দেয়া হোক না কেন সেখানে সরকার বাধা দিচ্ছে। হোক সেটি কালো পতাকা প্রদর্শন বা অনশন কর্মসূচি। শুধু বিএনপির কর্মসূচি বা বিএনপির উপর নয় যারাই আন্দোলন করছে তাদের উপর সরকার নির্যাতন করছে। কিছুদিন আগেও কোটা আন্দোলনকারীদের কিভাবে হামলা করে নিয়ন্ত্রণ করেছে তা দদেশবাসী দেখেছে। বিএনপি বা বিরোধী রাজনৈতিক দল নয় সরকারের ভিন্নমতের যারাই কথা বলুক তাদেরই দমন করা হচ্ছে। মানবাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ মানুষের জীবনেরই নিরাপত্তা নেই সেখানে মানবাধিকার দিয়ে কি হবে? আগে মানুষ বাঁচতে হবে তারপরেই তো মানবাধিকারের প্রশ্ন আসবে। দেশে কারো জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। যে ব্যক্তিই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে তাকেই কঠোরভাবে দমন করছে এ সরকার। বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না সরকারের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে একমত। বিএনপি আওয়ামীলীগ নেতাদের মত লগী বৈঠার আন্দোলন করতে পারেনা। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের আন্দোলন তাদের কাছে পছন্দ হবে না। আমরা আপনাদের একটা চ্যালেঞ্জ করি। আসুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যারাকে রেখে রাস্তায় নামুন, আমরা ও আসি। দেখি কার আন্দোলন কত বেশি হয়। কারা আন্দোলনে টেকে সেটা রাজপথেই প্রমাণ হয়ে যাবে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে দেখিয়ে দেব কিভাবে সরকার পতন করতে হয়। সামনে পিছে ডানে বামে পুলিশ, র্যাব রেখে বড় বড় অনেক লথা বলা যায়। রাজপথে সাপের মত লাঠি দিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারা কখনও আন্দোলন হয় না। আমরা সে আন্দোলনে বিশ্বাস করি না। মঈন খান বলেন, লর্ড কার্লাইল ভারতের ভিসা পাননি। লর্ড কার্লাইল কেন ভারতের ভিসা নেবেন। তাকে কেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া হলো না? আমরাতো তাকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি। আওয়ামীলীগ কি নিজেদের ইতিহাস ভুলে গেছে? আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বিদেশ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেয় নি তারা? তাকে তো তখন বাংলাদেশে আসতে বাধা দেয়া হয় নি! তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য তারা আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলায় টমাস উইলিয়ামকে নিয়োগ করেছিল। আমরা তো খালেদা জিয়ার জন্য লর্ড কারলাইলকে আইনজীবী নিয়োগ করেছি। তাহলে তাকে কেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া হল না। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন লর্ড কার্লাইল তো একজন আইনজীবী, তাকে কেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া হলো না। তিনি তো আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাহলে তাকে কেন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনী পরামর্শ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি? কেন তাকে বাংলাদেশের ভিসা দেয়া হয় নি? দেশের প্রত্যেকটি মানুষের গণতান্ত্রিক, আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সেটি দেয়া হচ্ছে না। তার জন্য নিয়োগ দেয়া আইনজীবীকেও আসতে দেয়া হচ্ছে না। আসলে সরকার চায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আবারও ২০০৮ সালের মত পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানাতে। কিন্তু সরকারের সেই প্রচেষ্টা কখনও সফল হবে না। তিনি বলেন, আজ দেশে আইন কানুনের কোনো বালাই নেই। সরকারের বিরুদ্ধে যেই জথা বলছে তাকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারাগারে নেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় একটা নির্জন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু যেখানে কোনো মানুষ থাকেনা সেখানে কেন খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে আমি সরকারের কাছে জানতে চাই। সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ সরকার গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের টুটি চেপে ধরে রেখেছে। নিজেদের পছন্দমত লিখে দেওয়া কথা প্রচার করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার গণমাধ্যম কে জোর কিরে নিজেদের পক্ষে বলে জনগণকে শুনাচ্ছে। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ড্যাবের সহ সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব নেতা প্রফেসর ডা. গাজী আজিজুল হক, ড্যাব নেতা ও কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আলম, বিএনপির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি সেলিম ভুইয়া প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন