জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি বা ওরাল কণ্ট্রাসেপটিভ পিল (ওসিপি) খুব জনপ্রিয়। আবিষ্কারের পর যুগ যুগ ধরে মেয়েদের কাছে জননিয়ন্ত্রন বড়ি তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ওসিপি তে দুই ধরনের হরমোন থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন। জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির ব্যর্থতার হার খুব কম। ওসিপি-এর অনেক সুবিধা থাকলেও কিছু কিছু অসুবিধা আছে।
জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট এটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে। মেয়েদের ইস্ট্রোজেন হরমোন থাকার ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট এটাক কম হয়। ওরাল কণ্ট্রাসেপটিভ কতদিন খেলে বা কোন ধরনের পিল ব্যবহার স্ট্রোক হয় তা এখনো পুরোপুরি ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে বর্তমানে অনেক গবেষণা হচ্ছে।
বর্তমানে এক গবেষণায় দেখা গেছে জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি গ্রহণ করলে ধমনীর ভেতর রক্ত জমাট বাঁধেনা। ফলে স্ট্রোকের তেমন ঝুঁকি নেই। তবে প্রজেস্টেরন জাতীয় ওসিপি পিল গ্রহণ করলে ঝুঁকি থাকেনা। ইস্ট্রোজেন যদি উঁচু মাত্রার থাকে তখন কিন্তু আবার ঝুঁকি বাড়ে। উচ্চ মাত্রা এবং নিম্ন মাত্রার ইস্ট্রোজেন জাতীয় জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি থাকে। নিম্ন মাত্রার ইস্ট্রোজেন বড়ি নিরাপদ। গবেষণায় দেখা গেছে নিম্ন মাত্রার (৫০ মাইক্রোগ্রামের কম) বড়ি বেশ নিরাপদ। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে না।
সুতরাং যারা জন্মনিয়ন্ত্রন নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদের ক্ষেত্রে নিম্ন মাত্রার ইস্ট্রোজেন পিল গ্রহণ করা উচিত। তাতে স্ট্রোকের তেমন ঝুঁকি থাকেনা। তবে গ্রহণকারী যদি স্থূল হন, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ থাকে, রক্তে চর্বি বেশী থাকে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তবে ওসিপি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া উচিত। তাদের ক্ষেত্রে অন্য কোন উপায় গ্রহণ করা উচিত।
স্বল্প মাত্রার ইস্ট্রোজেন বড়ি অনেক নিরাপদ। শরীরের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম। তাই স্বল্প মাত্রার ইস্ট্রোজেন বড়ি গ্রহণ করা উচিত। আপনি যদি জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি গ্রহণ করেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে জেনে নেবেন তা উচুঁ না নিচু মাত্রার। এ বিষয়ে সচেতনতা দরকার। নাহলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন