শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ইনুকে মশাল বরাদ্দে ইসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আম্বিয়ার

প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অপর অংশের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।
গতকাল শুক্রবার বিকালে জাসদ একাংশের দপ্তর সম্পাদক ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ১৪ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বরাতে জাসদের কোন অংশের কাছে মশাল প্রতীক ও নিবন্ধন থাকবে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত, অসময়োচিত এবং দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয় বলেও মনে করেন তারা।
তারা বলেন, শুনানীর সময় নির্বাচন কমিশন বলেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের আরো তথ্য-উপাত্ত প্রযোজন হতে পারে ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ আরো তথ্য-উপাত্ত দাখিল করতে পারবেন। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যখন তৃতীয় পর্যায়েও উভয় পক্ষকে মশাল প্রতীক ব্যবহার করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সম্মতি দিয়েছে এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। এতে নির্বাচনের অবশিষ্ট পর্যায়েও তা বহাল রয়েছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আকস্মিক এ সিদ্ধান্ত জাসদকে বিভক্ত করাকেই প্রকারান্তরে এগিয়ে নিয়ে গেছে। যা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পরে না বলেও মনে করেন তারা।
তারা বলেন, ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ঘটনাও নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে আমলে নেয়নি। নির্বাচনী অধিবেশনে ব্যক্তি বিশেষদের পক্ষে মাস্তানি, গুন্ডামী, অনির্বাচনী পরিবেশ, গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনী রীতি-নীতি অনুসারে অধিবেশন পরিচালনা না করার বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচনী অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো ফলাফলই সিদ্ধান্ত আকারে আসাটা বিবেচিত হতে পারে না। অথচ শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবিত বিষয়কে নির্বাচন কমিশন বড় করে দেখিয়ে মশাল প্রতীক ব্যবহারের জন্য রহস্যজনকভাবে এক অংশকে অনুমতির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
ওই বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, উপরন্ত নির্বাচন কমিশন গত দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন ও মশালকে বহন করেছেন। এরমধ্যে তিনজন এমপি রয়েছেন। তাদের দাবিও উপেক্ষা করেছে কমিশন। পক্ষান্তরে যারা সুযোগ থাকা স্বত্তে¡ও সংসদ নির্বাচনে মশাল প্রতীক ব্যবহার করেননি, তাদের পক্ষে রায় দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট, ন্যায়বিচার পরিপন্থী ও সংসদীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইসি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে বিষয়টি আবারও ভালোভাবে পর্যালোচনা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত দেয়ার আহŸান জানান একাংশের এ দুই নেতা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন