চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাংকটির পিয়ন কাম গার্ডসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। গতকাল রোববার সকালে তারা ব্যাংকের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান কর্মচারীরা। তারা বলছেন, এর আগে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কথা রাখেনি। বরং
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানি, কারণ ছাড়াই কাজে যোগদানে বাধা, বিনা বিশ্রামে ২৪ ঘণ্টাসহ নানা ধরনের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। কর্মচারীরা দাবি জানান, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন-ভাতা, গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী বেতন-ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন দিতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক অস্থায়ী কর্মচারী সমিতির আহ্বায়ক মো. আজিজুল হক বাবুল বলেন, ১০ থেকে ১৫, ১৫ থেকে ২০ বছর কাজ করার পরও গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের স্থায়ী করছে না। গত মার্চেও আমরা এ নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। ওই সময় তারা আমাদের বলেছিল- দুই মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে। আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা তারা নেয়নি। “এমনকি আন্দোলনে নামার পর তারা কর্মচারীদের দৈনিক বেতন ২৫ টাকা করে কমিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে ৪০০ টাকা করে দেয়া হতো। এখন তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৩৭৫ টাকায়।”
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ৯ মাস চাকরির পর স্থায়ীকরণের কথা ছিল। কিন্তু আমাদের বেলায় তা মানা হচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা বউ-বাচ্চাদের ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে কিছু দিতে পারি না। তারা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। মানবিকতা বিবেচনা করে হলেও আমাদের দাবি মানতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন