শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএফইউজে’র একাংশের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। গতকাল সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা ও দুপুর সোয়া ১২টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জানাজার পর মরহুমের লাশ তার ঢাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মরহুমের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়। বিকাল ৪টায় লাশ গলাচিপায় গিয়ে পৌঁছায়। আজ সোমবার সকাল ১০টায় গলাচিপা শহরের জৈনপুরী হুজুরের খানকায় তৃতীয় ও মরহুমের গ্রামের বাড়ি ডাকুয়ায় সকাল ১১টায় চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে আলতাফ মাহমুদকে।
আলতাফ মাহমুদের জানাযায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য সচিব গোলাম মর্তুজা, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
গত ১৪ জানুয়ারি স্পাইনাল কডের সমস্যা, মাথার পেছনে ও ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই সাংবাদিক নেতা। এরপর ২১ জানুয়ারি স্পাইনাল কডের অপারেশনের পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মুজিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, অবস্থার অবনতি হলে স্নুায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ২১ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। অস্ত্রোপচার সফল হয়। তাঁর ডায়াবেটিকসসহ অন্যান্য রোগও ছিল। ডায়াবেটিকসের মাত্রা অনেক বেশি। পরে হার্ট অ্যাটাক হলে তার মৃত্যু হয়।
সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের ইন্তেকালে শোক জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপির ভরপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এক শোকবার্তায় বলেন, সাংবাদিকতায় আলতাফ মাহমুদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মত একজন সিনিয়র সাংবাদিকের মৃত্যু দেশের সাংবাদিকতার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। প্রেসিডেন্ট আলতাফ মাহমুদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেন, সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের ইন্তেকালে শোক ও গভীর সমবেদনা জানিয়ে এক শোকবার্তায় বলেছেন, আলতাফ মাহমুদ সাংবাদিকতা জীবনে তাঁর পেশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে তিনি যে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তার সতীর্থ ও সহকর্মীদের মধ্যে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি বলেন, আলতাফ মাহমুদ একজন দক্ষ সাংবাদিক ছিলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুদ্দিন হারুন, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বিএফইউজের একাংশের সভাপতি সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মরহুম আলতাফ মাহমুদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আলতাফ মাহমুদ সাংবাদিকদের দাবী আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তার ইন্তেকালে সাংবাদিকরা একজন অবিভাবক হারালো।
সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান।
গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সৎ এবং নিষ্ঠাবান সাংবাদিক। তার মতো ত্যাগী সাংবাদিক সমাজে খুবই প্রয়োজন।
সাংবাদিকে আলতাফ মাহমুদের ইন্তেকালে আরও শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সভাপতি আঙুর রাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের নেতৃবৃন্দ, বরিশাল বিভাগ সমিতি, ল রিপোর্টার্স ফোরাম, কুমিল্লা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব ঢাকার নেতৃবৃন্দ, ঢাকা সম্পাদনা সহকারী ফোরাম।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির শোক
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছে। সমিতির সভাপতি আসিফ তাসীন এবং সাধারণ সম্পাদক লালন মাহমুদ শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গতকাল গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে), চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, সম্পাদক মোরশেদ আলম পৃথক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিককের পেশার মর্যদা রক্ষা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি ছিলেন লড়াকু যোদ্ধা। আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হল। নেতৃবৃন্দ আলতাফ মাহমুদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন