শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

পানি নিয়ে হুমকিতে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পানির জন্য বাঁধ ও পানিধার নির্মাণ করে চিরশত্রæ ভারত ও পশ্চিম প্রতিবেশী আফগানিস্তানের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে ইসলামাবাদকে পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তান ইকনমি ওয়াচ। ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি লঙ্ঘন করায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন পাকিস্তানের এই থিংকট্যাংক। সম্ভাব্য সংঘাতের সময় পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো আটকে দিতে পারে ভারত। পাকিস্তান ইকনমি ওয়াচ-এর মতে, ‘পাকিস্তানকে বø্যাকমেইল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে পানি। তাই ভারত ও আফগানিস্তানের মতো শত্রæ দেশের উপর পানির জন্য নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি মৌলিক বিষয়। বাঁধ শুধু পানি ও নিরাপত্তারই গ্যারান্টি দেবে না তা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনবে এবং এনার্জি মিক্সের ক্ষেত্রে ভারসাম্য তৈরি করবে। বর্তমানে জ্বালানির জন্য পাকিস্তান ব্যাপকভাবে তেলের উপর নির্ভরশীল।’ এর আগে ইউরেশিয়ান টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়, কাবুল নদীর পানি নিয়ে এক নতুন যুদ্ধ ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। নয়াদিল্লি’র সঙ্গে কাবুলের সুসম্পর্কের কারণে দুই দেশ কাবুল নদীতে ১২টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির সুযোগ খুঁজছে। এসব প্রকল্প পাকিস্তানে পানির প্রবাহ সংকুচিত করবে এবং সংকট পরিস্থিতি তৈরি করবে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে বলেছে যে নয়া দিল্লি পানি নিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধটিকে আফগানিস্তানে নিয়ে গেছে। এদিকে, পাকিস্তানের দিয়ামের-বাশা বাঁধ নির্মাণের খরচ ২০০৮ সালে যেখানে ১,৪৫০ বিলিয়ন রুপি হিসাব করা হয়েছিলো এখন তা বেড়ে ২,৩৫০ বিলিয়ন রুপিতে দাঁড়িয়েছে, যা অস্বাভাবিক। ইকনমি ওয়াচের ড. মুঘল বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা ও মুদ্রার দর পড়ে যাওয়ায় বাঁধ নির্মাণের খরচ লাফ দিয়ে বেড়ে গেছে। তবে এই বাঁধ ফার্নেস অয়েলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনাবে। ফলে জ্বালানি আমদানি করতে গিয়ে যে বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে তা বেঁচে যাবে। এটা বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমাবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ জোরদার হবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে ও রফতানি বাড়বে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন