কানাডায় প্রতি বছর ২২ লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়। খাদ্যের অপচয়ের চিত্র তুলে ধরে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দিনে কানাডীয়রা যে ১২ লাখ আপেল, ২৪ লাখ আলু ও ৭ লাখ ৫০ হাজার পাউরুটি নষ্ট করে, বছর শেষে তার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ লাখ টনে। দেশটিতে খাদ্যের এমন অপচয় ঠেকাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য পণ্যের বড় দুই খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও সোবিস। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রাদেশিক সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মধ্য দিয়ে কানাডায় খাদ্য অপচয় রোধে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে তারা। কানাডার ‘ন্যাশনাল জিরো ওয়াস্ট কাউন্সিল’ জানিয়েছে, দেশটিতে যে পরিমাণ খাদ্যের অপচয় হয় গ্রিন হাউজ নির্গমনের হিসেবে তা ২১ লাখ গাড়ি রাস্তায় নামানোর সমতুল্য। অর্থাৎ নষ্ট হওয়া খাদ্য উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয়, ২১ লাখ গাড়ি নির্মাণে সেই পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়। অপচয় হওয়া ২১ লাখ টন খাদ্যের মধ্যে ১৩ লাখ টন খাদ্য আসলে খাওয়ার উপযোগী। অর্থাৎ হয়ে বা যাওয়া সত্তে¡ও খাবারগুলো ফেলে দেওয়া হয়। এ পরিমাণ খাবার কিনতে কানাডায় পরিবার প্রতি বছরে ৮৩৫ ডলার খরচ করতে হয়। যুক্তরাজ্যে খাদ্য অপচয় রোধে নেওয়া একটি কর্মসূচির অনুপ্রেরণায় কানাডায় শুরু হয়েছে ‘খাদ্যকে ভালোবাসুন, অপচয়কে নয়’ শীর্ষক প্রচারণা। যুক্তরাজ্যে এমন প্রচারণায় খাদ্যের অপচয় পাঁচ বছরে প্রায় ২১ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। এর বাজার মূল্য এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার। কানাডার ‘ন্যাশনাল জিরো ওয়াস্ট কাউন্সিলের’ প্রধান ম্যালকম ব্রডি মন্তব্য করেছেন, ‘লাভ ফুড হেইট ওয়াস্ট শীর্ষক প্রচারণার খুবই দরকার কানাডায় খাদ্য অপচয় রোধে। এই কর্মসূচীই খাদ্যের সঙ্গে কানাডীয়দের সম্পর্ক পরিবর্তনে প্রথম প্রচেষ্টা। খাদ্যের অপচয় রোধের জন্য খুব অল্প চেষ্টা করলেই হয়। একবারে বেশি খাবার বা কিনে প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার কেনা উচিত। বেশি বেশি খাবার কিনে ফ্রিজে রাখা আর পরে তা নষ্ট হয়ে গেলে ফেলে দেওয়ার মতো অভ্যেস পাল্টালেই পরিবর্তন আসবে।’ আনাদোলু পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন