মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা দিতে দেরী হওয়ায় ৮ অটোরিকশা চালককে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকেল ৫টায় মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী এসে ৮ অটোরিকশা চালককে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় ফুলহর এলাকার চাঁদাবাজ বুইট্টা আমীরের কার্যালয়ে। সেখানে চাঁদা দিতে দেরী হওয়ার অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারপিট করা হয় ৮ অটো রিক্সা চালককে। আহতরা হচ্ছে স্থানীয় ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী (২২), আবুল হোসেনের ছেলে বাবু (২৫), মানিক চানের ছেলে সাব্বির (২৪), আবদুলের ছেলে মাসুম (২৮), নাবিলের ছেলে রানা (৩০)সহ আরও ৩ জন। আহতরা জানায়, রোববার সকালে গাড়ী (অটোরিকশা) নিয়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে আসার পর মীর্স চাঁদাবাজ আমীর ওরফে বুইট্টা আমীরের ক্যাডার কুতুবউদ্দিন ও আনোয়ার ১২০ টাকা চাঁদা দাবী করে। প্যাসেঞ্জার পাইনি পরে দিবো। একথা বলার সাথে সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে বিকেলে ১০/১৫ জনকে নিয়ে এসে আমাদের আমীর হোসেনের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে শীর্ষ চাঁদাবাজ আমীরের নির্দেশে আমাদের হকিস্টিক, লাঠিসোটা, রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা জানায়, মদনপুর ও আশপাশের এলাকায় পরিবহন সেক্টর থেকে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে ফুলহরের শরাফত মেম্বারের ছেলে শীর্ষ চাঁদাবাজ বুইট্রা আমীর। তার একটি লাইসেন্স করা শর্টগান রয়েছে। সেই শর্টগান ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পুরো মদনপুর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি করে বেড়ায় বুইট্রা আমীর গ্রুপ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মদনপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এই বুইট্রা আমীর গ্রুপ। চাঁদা না দিলে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন