শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাউজানে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:২৭ পিএম

রাউজানে দুই সন্তানের জননী নাছিমা আক্তার (২৭) এর পরকীয়ার ঘটনা ধমাচাপা দিতে এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে রোকসানা আকতার। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নোয়াপাড়া পথেরহাট মালঞ্চ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল অমিন সওদাগর বাড়ীর প্রবাসী জালাল আহাম্মদের স্ত্রী রোকসানা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমার জা,দুই সন্তানের জননী নাছিমা আক্তার পরকীয়া প্রেমিক মো:সাদেক, (পিতা-মোঃ হাবিব উল্লাহ) নামের এক সি.এন.জি চালক এর সাথে পালিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন দিয়ে প্রবাভীত করতে তার ভাবি বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি আজিজ চেয়ারম্যানের বাড়ীর সফিউল আলমের স্ত্রী নাসরিন সোলতানা পারুল, নাছিমা আক্তার কে বাচাতে তার ভাশুর প্রবাসী জালাল আহাম্মদ ও তাঁহার স্ত্রী রোখসানা আক্তারকে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন (২১/১১/২০১৭ইং) মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। উপস্থিত ছিলেন রোকসানার মা, ভাই আবু তাহের চাচাত ভাই মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া, এসময় রোকসানা আক্তার অভিযোগ করেন আমার জা, নাছিমা আক্তার গত ০৬/১০/২০১৭ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ৫টায় পরকীয়া প্রেমিক সাদেক, (পিতা-মোঃ হাবিব উল্লাহ) নামের এক সি.এন.জি চালক এর সাথে পালিয়ে যায়। ঐদিন ভিকটিমের শাশুড়ি ফেরদৌস বেগম ঘটনা উল্লেখ করিয়া ০৬/১০/২০১৭ইং রাউজান থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন (০৭/১০/২০১৭ইং) ভিকটিমের চাচা মো: নাছের রাউজান থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ আছে যে, মো: ইয়াকুব আলী প্রকাশ শেখ আহম্মদ এর স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে নোয়াপাড়া চৌধুরী ঘাটকুল এলাকার হাবিবুল্লার ছেলে মো: সাদেক নিয়ে গেছে সেখানে আমাদের ব্যাপারে কোন অভিযোগ ছিলনা।তাছাড়া নাছিমা আকতার তার স্বামী এয়াকুব আলী প্রকাশ শেখ আহম্মদকে পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে গত ০৪/০৭/২০১৭ইং তালাক দিয়েছিল। এরপরও নাছিমার ভাবী নাছরীন সুলতানা পারুল ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ভিকঠিমের ভাশুর প্রবাসী জালাল আহাম্মদ ও তাঁহার স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে জড়িয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং-৬৯৪/২০১৭ইং ফৌজদারী অভিযোগ দিয়ে ভিকটিম ও প্রকৃত ঘটনায় জড়িতকে বাঁচাতে প্রতারণা মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। যাহার প্রকৃত ঘটনা সমগ্র এলাকাবাসী, স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান জানেন বিধায় তার পরও প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা রেখে এবং রাউজান থানায় দায়ের করা ২টি অভিযোগ এর সত্যতা আড়াল করে আমাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উৎঘাটনের দাবী জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন