শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সিংড়ার সোনাপুর স্কুলে সাপ আতঙ্ক

নাটোর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

নাটোরের সিংড়ায় সোনাপুর পমগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতরে-বাইরে, বারান্দায়, টেবিল-বেঞ্চের নিচে, এমনকি শিক্ষকদের কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের বইপুস্তকের ভেতর থেকে আচমকাই বের হচ্ছে ছোট-বড় বিষধর সাপ। গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২০টি সাপ বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে বের হয়েছে। সাপ আতঙ্কে ক্লাস চালানো হচ্ছে বিদ্যালয়ের বারান্দায়।
সাপের ভয়ে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বেশিরভাগ শিশুরা। যারা আসছে, তাদের ক্লাস নিতে হচ্ছে চরম ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। আকস্মিক সাপের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে বারান্দায় ক্লাস চলার সময় লাঠি, বাঁশ ও লোহার পাইপ হাতে নিয়ে পাহারা দিচ্ছে অন্য শিশুরা। এ বিদ্যালয়ে শুধু বিষধর সাপের উপদ্রব নয়, এখানে শুয়োপোকা ও গুইসাপসহ বিষাক্ত পোকা-মাকড়েরও উপদ্রব রয়েছে ওই স্কুলে। এসব কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে ইংরেজি ক্লাস চলার সময় দরজায় লাঠি হাতে পাহারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুলকে। তার তীক্ষষ্ট দৃষ্টি শ্রেণিকক্ষের সর্বত্র। কোনো দিক থেকে সাপ বের হলেই সেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে। হাসিবুলের মতো সবুজ, মারুফ, আসিফ, রাব্বি, সাজিদ পালাক্রমে নিজেরা প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ পাহারা দিচ্ছে এভাবেই।
হাসিবুল জানায়, ‘গত চার দিনে প্রায় ২০টি সাপ মেরেছে তারা। সাপগুলো কোনদিক দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকছে তা তারা বুঝতে পারছে না।’ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও মিথিলা বিলকিস আক্তার, মারুফা জানায়, প্রতিদিনই স্কুলে সাপ দেখছে তারা। সাপের ভয়ে অনেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শাহাদত হোসেন ও শিরিনা সুলতানা বলেন, ‘সাপের উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে’। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘হঠাৎ সাপের উপদ্রবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই আতঙ্কিত। শিশুরাই নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে চলেছে।’ প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম জানান, সাপের উপদ্রবের ব্যাপারে মৌখিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। সিংড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে স্কুলটি বন্ধ রাখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন