বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ওজিলের সিদ্ধান্তে বিস্মিত লো

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় জার্মানি। এর পর থেকে ছুটিতে রয়েছেন দলটির কোচ জোয়াকিম লো। তার মাঝেই টুইটারের মাধ্যমে শুনেছেন জাতীয় দল থেকে মেসুত ওজিলের অবসরের খবর। প্রিয় শিষ্যের অকাল অবসরের খবরে বিস্মিত হয়েছেন দলটির বিশ্বকাপজয়ী কোচ।
তাঁর এজেন্টের মাধ্যমে প্রথম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেয়ে জার্মান কোচের। এজেন্টের মতে, ‘সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগে জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ওজিল। উনি কিছুই জানতেন না। আমার মাধ্যমে কোচের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কোনও চেষ্টাও করেননি ওজিল।’ লো-র এজেন্টের এই বক্তব্য প্রকাশ করে জার্মানির দৈনিক ‘বিল্ড’।
২৯ বছরের আর্সেনাল তারকা বিশ্ব ফুটবলকে অবাক করে জার্মানির জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। কারণ হিসেবে তিনি জার্মানি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিনডেলের বিরুদ্ধে বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ আনেন। ওজড়লের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা জার্মানিতে হলেও তাঁর পূর্ব পুরুষের জন্মস্থান তুরস্কে।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের আগে আরও অনেকের মতো তুরস্ক থেকে ওজিলের পরিবার চলে আসে জার্মানিতে জীবিকা নির্বাহের সন্ধানে। গেলসেনকির্শেনে এসে ওঠেন তাঁর পিতামহরা। সেখানেই জন্ম ওজিলের। মনে প্রাণে তাই ওজিল জার্মান। তবে পূর্ব পুরুষের জন্মভুমি তুরষ্ককে তিনি ভোলেননি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগানের সঙ্গে দেখা করে ছবি তুলে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। জার্মানিতে অনেকে এর্দোগানকে স্বৈরাচারী হিসেবে দেখেন। কারও কারও মনে হয়েছিল, নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো এর্গোদান জার্মানির দুই ফুটবলারকে (ওজিল ও গন্ডোগান) ব্যবহার করতে চাইছেন এবং সেটাও বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। সেই কারণে সেই সময়ে জার্মানিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই হয় তাঁদের নিয়ে।
বিশ্বকাপ থেকে জার্মানির অকাল বিদায়ে আরও চাপে পড়ে যান ওজিল। সেটা সইতে না পেরে টুইটারে বিস্ফোরক বিবৃতিতে জার্মান ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্টকে এক হাত নিয়ে লেখেন, ‘গ্রিন্দেল (জার্মানি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট) এবং তাঁর অনুগামীদের বিচারে যখন জিতি, তখন আমি জার্মান। যখন হারি, তখন আমি অন্য দেশের।’
ওজিলের অবসরের ঘোষণায় জার্মানিতে কিন্তু ঘুরতে শুরু করেছে হাওয়া। একটি অনলাইন সংস্থা পাঁচ হাজার জার্মানকে ধরে ভোটাভুটি করেছিল। তাতে ৪৯.৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ওজিল-বিতর্কের জেরে জার্মান ফুটবল সংস্থার প্রধান গ্রিন্দেলের পদত্যাগ করা উচিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন