ইনকিলাব ডেস্ক : তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বিষয়ে ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও উভয় পক্ষই ইরাক ও সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধ করতে ইচ্ছুক। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এরদোগান এসব কথা বলেন। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা অবসানের লক্ষ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও ইরানী প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তুর্কি নগরী ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা পরিষদ বা ওআইসি’র ১৩তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার একদিন পরই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর রুহানি-এরদোগানের যৌথ সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রুহানি এবং এরদোগানের উপস্থিতিকে ইরানি ও তুর্কি কর্মকর্তারা নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার আটটি দলিল সই করেন।
অন্যদিকে রুহানি বলেন, ওআইসিকে দুটো প্রধান লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। মুসলিম বিশ্বের সংহতি এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার বাস্তবায়ন। ওআইসি যতদিন এ দুই লক্ষ্যের প্রতি সমর্থন দেবে ইরান ততদিন পর্যন্ত মুসলমানদের এই বিশ্ব সংস্থার প্রতি সমর্থন করবে বলে ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা ওআইসি বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের সমালোচনা করে থাকে। এদিকে ইসলামি সমাজে নারীর ভূমিকা জোরদার করা, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও মুসলমান বিশ্বে সংহতি জোরদার করার বিষয়ে এরদোগানের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানান রুহানি। এর আগে ইস্তাম্বুলে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অনুষ্ঠিত দু’দিনের ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন রুহানি। আইআরআইবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন