মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

থানা হাজতে মৃত্যু তিন পুলিশসহ পাঁচ জনের বিচার শুরু

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর পল্লবীর ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় করা হেফাজত নিবারণ আইনের মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন, পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ গঠনের আগে জামিনে থাকা আসামি মিন্টু, রাশিদুল আদালতে হাজির হয়। এছাড়া আসামি জাহিদুর আর সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান। এ ছাড়া আসামি রাসেল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। এরফলে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিরপুর থানায় এনে নির্যাতন করে ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন এসআই জাহিদ। সুজন হত্যা মামলাও এ আদালতেই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ইরানি ক্যাম্পে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ছিলেন জনি। এসময় পুলিশের সোর্স সুমন মাতাল অবস্থায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলে জনি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। তখন ঝগড়ার এক পর্যায়ে জনি চড় মারলে সুমন ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার আধা ঘণ্টা পর এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ এসে ওই অনুষ্ঠান থেকে জনিকে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজুল, সোর্স সুমন ও রাসেল। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন