জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতালে রোগীরা গতকাল রবিবার দুপুরে খাবার পায়নি। পরে নিজেদের উদ্যোগে বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়ে নেয় সবাই। জানা গেছে, মেসার্স কদ্দুস এন্টারপ্রাইজ হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে। দুপুরের খাবার ২টার মধ্যে দিলেও গতকাল রবিবার তা করা হয়নি। রোগীরা খাবার না পেয়ে অফিস কক্ষে গিয়ে জানতে পারে যে- খাবার প্রস্তুত হয়নি। এ ঘটনায় রোগী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলে পরে তারা বিক্ষোভ করে।
বাবুর্চি বেলাল হোসেন জানান, ‘আমি অসুস্থ্য। দরখাস্ত জমা দিয়ে ছুটিতে আছি।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘সারাদিন আমি জরুরী বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। বাবুর্চি অসুস্থ্য থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।’
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এনামুল হক অফিস বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হাসপাতালের অবস্থা নাজুক। হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন, চিকিৎসক সঙ্কট, অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বন্ধ, জেনারেটর নষ্ট থাকায় স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পানির পাম্প অচল থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,হাসপাতালে একটু আকটু সমস্যা হতেই পারে এ নিয়েই নিউজ করতে হবে কি ? আর হাসপতালের সব কিছুর দায় দায়িত্ব আমার না। সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত ফিরোজ আল মামুন জানান, বিষয়টির ব্যাপারে আমি এখনও অবহিত নহি, এমন অনিয়ম হলে এর বিরুদ্ধে অবশ্য আইনানুগ ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন