শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিচারক সংকটে দেশে মামলার জট বাড়ছে-প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিচারক সংকটের কারণেই দেশে দিনে দিনে মামলার জট বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক সংখ্যাও অপ্রতুল। তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর আদালতের বিচারক ও মামলার সংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশেল বিচারক ও মামলার সংখ্যার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে সারাদেশের আদালত গুলোতে প্রায় ৩৪ লাখ মামলা বিচারাধীন। এই বিপুল পরিমাণ মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক রয়েছেন মাত্র একহাজার ৬শ ৪৭ জন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন আদালতে তিন কোটি মামলা বিচারাধীন। তবে এর বিপরীতে বিচারক রয়েছেন ২৩ হাজার। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যার আধিক্যের কারনেই দেশে আদালতগুলোতে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। 

‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট-২০১৮’ শীর্ষক ওয়েব সাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। আইন মন্ত্রণালয় এবং জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড যৌথভাবে এ ওয়েব সাইট নির্মাণ করেছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি বিচারক রয়েছে। বাংলাদেশে দশ লাখ লোকের বিপরীতে ১০ জন বিচারক রয়েছেন। কিন্তু আমেরিকায় প্রতি দশ লাখে বিচারক রয়েছেন একশ ৭ জন, কানাডায় ৭৫ জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অষ্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন এবং ভারতে ১৮ জন। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেল তুলনায় আমাদের দেশে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি। ভারতে একজন বিচারকের বিপরীতে একহাজার ৩শ ৫০ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ওই বিচারক বছরে ৫শ ১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করছে। আর বাংলাদেশে একজন বিচারকের বিপরীতে ২ হাজার একশ ২৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের একজন বিচারক বছরে নিষ্পত্তি করছে ৭শ মামলা।
তিনি বলেন, জাস্টিস অডিট পদ্ধতি দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করবে। মামলাজটের পেছনের কারনগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জার্মান সহযোগি সংস্থা জিআইজেড দেশের পাঁচটি জেলায় জাষ্টিস অডিট পদ্ধতি চালু করেছিল। সেখানে সফলতা পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয়ভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হলো। তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে জাষ্টিস অডিট পদ্ধতির মাধ্যমে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার সঠিক কারণগুলো চিহ্নিত করে তা বিশ্লেষণ করে মামলা জট কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন