শস্যভান্ডার খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রচন্ড খরায় কৃষকরা রোপা আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টিপাতে স্বস্তি এসেছে কৃষক মহলে। ফলে শুরু হয়েছে রোপা আমন চাষ। ভরা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষ বিলম্ব হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা সময়মতো চারা রোপণ করতে না পারায় চারার বয়স বেড়ে যায়। ফলে ধানের ফলন নিয়ে কৃষকদের মাঝে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
এতে উপজেলায় রোপা আমন চাষ লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার এই উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একটানা খরার পর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে হালচাষ ও জমি তৈরি করে ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকার উপর পোঁওতা গ্রমের শাহাজান আলী ও আব্দুল করিম বলেন, বৃষ্টির পর থেকে জমিতে হালচাষ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। জমি তৈরি করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সবাই তাড়াহুড়া করে চারা রোপণ করছেন। কায়েতপাড়ার শফির উদ্দীন ও ছাহের আলী বলেন, আষাঢ়ের শেষ দিকে ও শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা হালচাষ দিয়ে জমি তৈরি করে ধান লাগাতাম। এ জন্য আষাঢ়-শ্রাবণ মাসকে সোনার মাস বলা হয়। কিন্তু এবার সময়মতো বৃষ্টি না থাকায় চারার বয়স একটু বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্ককর্তা কৃষিবিদ কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পর চাষ শুরু হয়েছে এবং লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন