শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি সংরক্ষণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায়

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পৈতৃক বাড়িটি পুরোনো কাঠামোতে ফিরিয়ে নিয়ে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কীভাবে বাড়িটি সংরক্ষণ করা হবে, এর উপস্থাপনা দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি তথ্যচিত্র দেয়া হয়।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তিনি বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন। পরে জানাবেন।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো এই বাড়িতে নানা সময়ে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়েও সংস্কার হয়েছে। কয়েক বছর আগে এই বাড়িটি মেরামত করা হয়েছে। এই বাড়িটিকে আদি কাঠামোতে ফিরিয়ে নিতে তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বাড়িটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। পাঁচ-ছয় বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়েছেই সেখানে কিছু রেনোভেশন করা হয়। তখন রেস্টোরেশনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। যেমন যেখানে চুন সুরকি ছিল, সেখানে প্লাস্টার করে দেয়া হয়েছে, রঙ করে দিয়েছে। এ ধরনের পুরনো বাড়ি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে তা মজবুত করতে হবে, বলেন মন্ত্রী।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট এক দল সেনা কর্মকর্তার হাতে ঢাকার ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। তাকে সমাহিত করা হয় টুঙ্গীপাড়ায়, মা-বাবার পাশে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন।
এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেরানীগঞ্জে নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সব স্থানান্তর হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবন দেখতে যেতে চেয়েছেন। কারাগারে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার স্মৃতিবিজড়িত স্থান বাদ দিয়ে বাকি জায়গা জনগণের ব্যবহারের জন্য দিতে চান তিনি। তিনি এটাকে সবুজ রাখতে চান, বলেন এই মন্ত্রী।
পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন অনুমোদন
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ বাতিল করে ১৯৯৬ সালে আইন করা হয়েছিল। ওই আইন পরিপূর্ণ ছিল না। আগের আইনকে বাংলায় অনুবাদ করে কিছুটা যোগ-বিয়োগ করে ‘বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ২০১৬’ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।
সচিব জানান, এই আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। পারমাণবিক কলাকৌশল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করাই এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ।
নতুন আইনের খসড়ায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালনায় ১৪ সদস্যের একটি বোর্ডের কথা বলা হয়েছে, যার চেয়ারম্যান হবেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিজে। ইনস্টিটিউটকে বছর শেষে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রবিধানমালাও প্রণয়ন করা যাবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিয়ে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবারও মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে হবে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তা পাসের জন্য সংসদে যাবে বলে শফিউল আলম জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন