সরকার বলছে তারা ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছে। অথচ আমরা দেখছি আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর সারাদেশে পুলিশ নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাথে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমন চালাচ্ছে। আজ (গতকাল সোমবার) সারাদিন রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বসুন্ধরা এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর টিয়ারশেল ও ছড়া গুলি চালানো হয়েছে। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আয়োজনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও মন্ত্রিসভা থেকে শাহজাহান খানের অপসারণের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও ইউনাইডেট কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সহকারি সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পর্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শাহবাগ এলাকা থেকে ছাত্রফ্রন্ট নেতা সজীব চৌহানসহ তিনজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যাল এলাকায় ছাত্রফ্রন্ট নেতা সোহাইল হোসেন শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মোরশেদ হালিমকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মারাত্বকভাবে আহত করেছে। গ্রেপ্তার কারা হয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতা আব্দুর গফুর মিয়া, ফয়েজ হোসাইন ওহুমায়ুন মজিবকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদেশি টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকার দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রখ্যাত আলোকচিত্রি শিল্পী শহীদুল আলমকে।
জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, দমন পীড়ন, গ্রেপ্তার করে এ সরকার তার দুঃশাসন দীর্ঘস্থায়ী করতে পরবে না। তিনি গ্রেপ্তারকৃতদরে অবিলম্বে মুক্তি ও জনগণের দাবি অনুযায়ী শহাজাহান খানকে মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণের দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন