বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উত্তেজনা চলছেই

ফোনালাপে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময়

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা চলছেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সাথে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। ফোনালাপে উভয় দেশের সম্পর্ক, অমীমাংসিত নানা বিষয়ের সমাধানে উভয় পক্ষের অবস্থান বা মতামত নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বছর ধরে তুরস্কে আটক মার্কিন নাগরিক খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনের আটক অবস্থাকে কেন্দ্র করে স¤প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়। একে কেন্দ্র করে গত ১ আগস্ট তুরস্কের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু এবং আইনমন্ত্রী আবদুলহামিত গুল-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে মুক্তি না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা এটাই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তুরস্কের উল্লিখিত দুই মন্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। আমেরিকায় তাদের কোনো সম্পদ গচ্ছিত থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তুরস্কের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেছেন, তুরস্কে আমেরিকার আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পদ জব্দ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতেই মেভলুত কাভুসোগলু এবং মাইক পম্পেও’র ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনাল। সফরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দেশের অমীমাংসিত নানা বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স¤প্রতি ন্যাটোর একটি বৈঠকে পরস্পরকে অচমকা খোঁচা দিয়েছেন। ট্রাম্প এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করেন ‘আমি তাকে পছন্দ করি, আমি তাকে ভালবাসি।’ এসময় তাদেরকে বেশ অন্তরঙ্গ পরিবেশে হাত মিলাতেও দেখা যায়। রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
abir ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ৭:০২ পিএম says : 0
Behind the screen Russia is a bosom friend of U.S.A. Russia is a information supplier to U.S.A form the victims of that attack!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন