ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মাদক, সন্ত্রাস ও ধর্ষণ বন্ধে রাসুল সা.এর আদর্শই সর্বশ্রেষ্ঠ। রাসূল সা. এর সময়েও মাদক, সন্ত্রাস ও ব্যভিচার বিদ্যমান ছিলো। তিনি যে পদ্ধতিতে এগুলো আজীবনের জন্য ধবংস করেছিলেন সেই পদ্ধতি অনুসরণেই সকল অপকর্ম বন্ধ সম্ভব। তিনি বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে দেশব্যাপী যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা চুনোপুটি। মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
গত বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত “মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষণের ভয়ালগ্রাস থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মুফতি মানসুর আহমাদ সাকীর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মুক্তাদির হোসাইন মারুফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুবনেতা কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা হোসাইন মুহা. কাওছার বাঙ্গালী। বক্তব্য রাখেন ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ঢাকা-৮ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা-১০ এর হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও আলহাজ্ব ফরীদ উদ্দিন দেওয়ান প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম আরো বলেন, দেশ এখন নৈরাজ্যের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। মিডিয়া কর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে সরকার তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে চেয়েছিলো, কিন্তু এতে করে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা ও অব্যবস্থাপনা ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, বড় পুকুরিয়া কয়লার খনি লুট, সোনালী ব্যাংক দূর্নীতি এবং সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার, স্বর্ণ চুরি প্রমাণ করে দিয়েছে ক্ষমতাশীনরা দেশের বন্ধু নয়। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। নিরাপদ সড়ক নিশ্চতকরণের জন্যও তিনি সরকারকে আহ্বান জানান।
অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বস্তুনিষ্ঠ হলে মাদক সন্ত্রাস নির্মূল হয়ে যেত। সভাপতির বক্তব্যে মানসুর আহমাদ সাকী বলেন, যুবকরা ঐক্যবদ্ধ হলে পরিবর্তন আসবেই। সুতরাং যুবকদেরকে সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন