ইনকিলাব ডেস্ক : পর্যটন শিল্প নেপালের অর্থনীতির মেরুদ- বললেও বোধহয় ভুল হবে না। কিন্তু ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মারা পড়ে ৮ হাজার মানুষ এবং আরও হাজার হাজার মানুষ হয়ে পড়ে আশ্রয়হীন। পর্যটকরাও নেপাল ভ্রমণে বিপদের আশঙ্কায় হয়ে পড়ে নেপালবিমুখ। বছর গড়িয়ে এলেও সেই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে নেপালের পর্যটন খাত এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুর কথাই ধরা যাক। সেখানকার বিখ্যাত দরবার স্কয়ারে গেলে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটকই হয়তো চোখে পড়বে। তবে পর্যটকের চেয়েও সেখানকার স্থানীয় গাইডের ঘোরাফেরাই দেখা যায় বেশি, যারা কাজের জন্য যেন মরিয়া হয়ে থাকে। তবে গত বছরের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর শহরের সব বিখ্যাত রাজপ্রাসাদ আর মন্দিরে এখনো দেখা যায় ধ্বংসস্তূপের টুকরো।
চারশ বছরের পুরনো এসব ঐতিহ্য যেন মিশে গেছে ধুলোয়। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা কাটিয়ে পর্যটন খাতকে আবার দাঁড় করানোর জন্য নেপালের সরকার নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। অল্প-স্বল্প যা কিছু নিদর্শন টিকে আছে, সেগুলো দেখার জন্যও টিকিটের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে, যা ১০০০ নেপালি রুপি বা ১০ ডলারের সমান। আশা করা হচ্ছে, টিকিট থেকে পাওয়া অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মেরামতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তবে আশা ছাড়তে রাজি নয় নেপালের জনগণ। তারা মনে করছে, নতুন এসব উদ্যোগের ফলে এ বছর আবার ঘুরে দাঁড়াবে নেপালের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন খাত, সেই সাথে অর্থনীতিও হয়ে উঠবে স্থিতিশীল। ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন