যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে পরা তুরস্কের প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। সোমবার পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সদিচ্ছা। তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্পষ্টত এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরেরর মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তান নীতিগতভাবে যে কোন দেশের বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে।’ তিনি বলেন, সংলাপ ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা শুধু শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেই ব্যাহত করে এবং কোন সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন ও কষ্টকর করে তোলে। তুরস্ককে বৈশ্বিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও চালিকা শক্তি উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের জনগণ ও সরকার তুরস্কের সরকার ও জনগণের প্রতি জোরালো সমর্থন জানাচ্ছে।’ ইসলামাবাদ সবসময় তুরস্কের জনগণের পাশে রয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। চলতি মাসের গোড়ার দিকে তুরস্কের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এক আমেরিকান যাজকে গ্রেফতার নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওই যাজকের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে। তুরস্কও অবিলম্বে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় এবং জানায় যে ওয়াশিংটনের উদ্যোগ দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে সম্পর্ক আরো ক্ষতিগ্রস্ত করবে। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি তুরস্কের জন্য স্টিল ও এলুমিনিয়ামের শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন। তিনি আরো বলেন যে তুরস্কের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আর ভালো নেই। এই ঘোষণার পর থেকে তুরস্কের মুদ্রা লিরার দরে পতন ঘটছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান একে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ অভিহিত করে নতুন বাজার ও অংশীদার খুঁজে নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন। এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন