আটককৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ৫ দফার আন্দোলনকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। না মানলে আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দিয়েছে পরিষদের নেতারা।
পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্র সমাজ মনে করে ৫ দফা আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার হলে ছাত্র সমাজ তথা সকলের কাছে অধিকতর যুক্তিসংগত হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ৪ বার আলোচনা করেও কোন ধরনের কাজ না করে নির্যাতন-নিপীড়ন দমন পীড়নের কারণে সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনে বিরাট অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র সমাজ আরও মনে করে, কোটা সমস্যা সমাধানে বারবার কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। অবিলম্বে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিয়ে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারিদের প্রতিনিধি দলের আলোচনা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ৫টি দাবিদাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো- সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কোটা হ্রাস করে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়া, একই পরিবারকে কোটার সুবিধা একাধিকবার না দেওয়া, কোটায় কোন বিশেষ নিয়োগ না দেওয়া ও সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা ও কার্ট মার্কস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন