ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ এ আসনে ব্যাপক নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন ফরিদপুরের জাকের পার্টির সভাপতি মশিউর রহমান জাদু মিয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নগরকান্দা-সালথা আসন থেকে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান জাদু মিয়াকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি এখন তার নির্দেশে সালথা-নগরকান্দায় গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন। প্রতিদিন গ্রামে গ্রামে বাড়িতে গিয়ে আগাম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরকান্দা-সালথায় সাম্প্রতিক ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন মশিউর রহমান জাদু মিয়া। বিভিন্ন জনসভায় সালথা-নগরকান্দার জনগণকে কাইজা, ঝগড়া, হানাহানি না করার জন্য আহ্বান জানান। নগরকান্দা, সালথা, ফরিদপুর-০২ আসন থেকে বর্তমানে সংসদ সদস্য আছেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এই এলাকায় তার কোনো বিকল্প নেই সত্য, কিন্তু ৪/৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে রাজনৈতিক অবস্থান এখন শুণ্যের কোঠায়। এই অবস্থা হত না যদি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সুস্থ্য থাকতেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বিশাল বাহিনী তৈরী করে দলীয় সদস্যদের নির্যাতন, হামলা, মামলা দিয়ে হয়রানী করে এলাকা থেকে বিতারিত করেছেন। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা এলাকা ছেড়ে ফরিদপুর শহরে এসে বসবাস করছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের ৭/৮ জন নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই এলাকাতে। এতেই বোঝা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সালথা-নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হয়ে দাড়াবে।
অপরদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে কেএম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র কণ্যা শামা ওবায়েদ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে বিএনপির শামা ওবায়েদ ও জাকের পার্টির মশিউর রহমান জাদু মিয়া এগিয়ে আছেন। যদি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন, সেই ক্ষেত্রে বিএনপি ও জাকের পার্টির মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে।
সালথার আবু নাসের জানান, জাদু মিয়া তরুন সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার তুলনা হয় না। এরকম নেতা ঘরে ঘরে হওয়া উচিৎ।
নগরকান্দার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ রমজান আলী জানান, আমরা সালথা-নগরকান্দায় একজন নতুন নেতাকে নির্বাচিত করতে চাই। সে দিক থেকে বিবেচনা করে জাদু মিয়ার বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন