প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গতকাল বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গ্রামীণফোনের ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামীণফোন বোর্ডের সদস্যগণ ও সিইও রাজিব শেঠি, কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণফোন বোর্ডের সদস্য এম শাহজাহান এজিএম এ সভাপতিত্ব করেন এবং এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি হোসেন সাদাত। এজিএম-এর সভাপতি তার ভাষণে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে ৩জি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। সভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভয়েস ও এসএমএস সেবা ছাড়িয়ে নতুন প্রজন্মের টেলিকম প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হতে ২০১৫ সাল জুড়েই আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। গ্রামীণফোনের লক্ষ্য নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো এবং এ প্রযুক্তি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবাদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখা।’ গ্রামীণফোন ২০১৫ সালে ৮০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরো ৬০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ১৪০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা)। শেয়ারহোল্ডারগণ ২০১৫ সালের জন্য সুপাশিরকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রæততার সাথে অনলাইনে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে। এজিএম-এর অন্যান্য কর্মকাÐের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৫ এর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর নিয়োগ। গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবার পর এটি ছিল ৭ম এজিএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন