শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এরা লাইসেন্স পায় কেমনে?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ২:২২ এএম

ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা রাস্তায় চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ভিআইপি পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
১৫/১৬ বছর বয়সি গাড়িচালক রবিনকে তৎক্ষণাৎ নিচে নামান এনায়েত উল্যাহ। পাশেই দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ফরহাদ। তাকে লাইসেন্স যাচাই করতে বললেন। সার্জেন্ট লাইসেন্স যাচাই করে দেখলেন এটি অপেশাদার এবং হালকা যান (মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা) চালানোর লাইসেন্স। পরে ওই চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেন সার্জেন্ট।
এসময় খন্দকার এনায়েত উল্যাাহ বলেন, ওর বয়স ২১ কেমনে হয়? দেখলেই বুঝা যায়, ওর ১৫-১৬ বছর। অথচ পেশাদার লাইসেন্স পেতে ২১ বছর হতে হয়। এরা কীভাবে লাইসেন্স পাচ্ছে? কেন ওদের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে?’ জবাবে সার্জেন্ট ফরহাদ বলেন, লাইসেন্স তো বিআরটিএ দেয়। ঘণ্টাব্যাপী সড়কে দাঁড়িয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে চলাচলকারী স্বাধীন, লাব্বায়েক, বিকাশ, ওয়েলকাম ও স্বজন পরিবহনের কয়েকটি বাস থামিয়ে সেগুলোর নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করতে থাকেন মালিক সমিতির নেতারা। এ সময় ওয়েলকাম পরিবহনের চালক পলকও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে শনাক্ত হয়। তবে তার লাইসেন্স আগেই জব্দ করে মামলা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে সে। সার্জেন্টের কাছে মামলার কাগজ দেখায় পলক।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় মানিক মিয়া এভিনিউ পশ্চিম বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয় মালিক সমিতির নেতারা। এছাড়াও রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও মিরপুরেও বাস মালিকরা যানবাহন ও লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করেন।
এ বিষয়ে খন্দকার এনায়েত উল্যাাহ বলেন, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আমাদের নজর কেড়েছে। আমরা দেখেছি যে, টার্গেট ও চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিযোগিতা ও দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। সকাল থেকে রাস্তায় নেমে কয়েকটি বাস থামিয়ে এগুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। আমাদের নজরে এসেছে যে অনেক চালকের বয়স ২১ বছর হয়নি, তবুও লাইসেন্স নিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছে। কেউ কেউ হালকা যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে ভারি যানবাহন চালাচ্ছে। অনেক চালকের চেহারা দেখে স্পষ্ট বুঝা যায়, সে নেশা করে। আমার প্রশ্ন কীভাবে এত অল্প বয়সে তারা লাইসেন্স পাচ্ছে? বাস মালিকদের এমন উদ্যোগকে অনেকেই আইওয়াশ বলছেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এটা আইওয়াশ কি-না ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন। এই সমস্যা রাতারাতি ঠিক না হলেও সড়কে নিরাপদ করেই আমরা ঘরে ফিরব।
এদিকে, বাস মালিক ও পুলিশের পাশাপাশি মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ’র একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। দুপুর পর্যন্ত যানবাহন ও চালকের বিরুদ্ধে মোট ২০টি মামলা করা হয়। মাজহারুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ যানবাহনকে রুট পারমিট এবং ফিটনেস ঠিক না থাকায় মামলা দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
সফিক আহমেদ ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ৩:৫৬ এএম says : 0
যারা লাইসেন্স দেয় ওদের আগে ধরা উচিত।
Total Reply(0)
রাসেল ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ৩:৫৭ এএম says : 0
কথায় আছে টাকায় বাঘের চোখও মিলে
Total Reply(0)
MD Emam Hossain ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৭ পিএম says : 0
ha ha ha.Taka thakle akasher chad o kena possible!! Ar ato ak khana paper matro!
Total Reply(0)
James Jimmy ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৭ পিএম says : 0
খান সাহেবকে জিজ্ঞাস করেন বলে দিবে কিভাবে লাইসেন্স পাওয়া যায়!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন