কোরবানি ঈদের আগে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে বাড়তি চাহিদা ও ভারতের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশেও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। হিলির পাইকারি বাজারে গত সোমবার এক দফায় পণ্যটির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমেছিল। দুইদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরো ৫ টাকা কমেছে। গত রোববার হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৮-৩০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে সোমবার পণ্যটির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে দাঁড়ায় ২৫-২৭ টাকা। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে (ট্রাকসেল) ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৩ টাকায়। সে হিসাবে, দুইদিনের ব্যবধানে স্থানীয় বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা কমেছে। স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারক মনির হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের আগে দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৮৩টি ট্রাকে প্রায় দুই হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে পাইকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। ঈদে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমদানি বাড়ানোর ফলে এখন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০-৮০টি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে ঢুকছে। হিলির পাশাপাশি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বাজারে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন