আগের মত আর দেখা যায় না কাঠ দিয়ে তৈরি গোলাকার বায়োস্কোপ বক্স। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এক সময়কার গ্রাম-বাংলার কাঠের বাক্সের জনপ্রিয় বায়োস্কোপ।
সত্তর দশকের পুরো সময় পর্যন্ত গ্রাম গঞ্জ ছাড়িয়ে শহর ও বন্দরে কাঠের বাক্সের বায়োস্কোপ ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। শিশু ও কিশোর কিশোরীরা গোলাকার দ্ইু ছিদ্রে চোখ লাগিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখতো। আর কাঠের বাক্সের দুই পাশে স্বচ্ছ কাঁচের ৫ থেকে ৬টি দর্শনগ্লাস তৈরী করে মাথায় নিয়ে ঝনঝনি বাজিয়ে শহর বন্দর, গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়াতেন বায়োস্কোপ প্রদর্শকরা।
বায়োস্কোপ নামের বাক্সের ভেতরে সেই সময়ের নায়ক-নায়িকা, তাজমহল, রাজা ও জমিদারের রাজপ্রাসাদ এবং তাদের শাসননামলের লাঠিয়াল বাহিনীর কর্মকান্ডের স্থিরচিত্র চলচ্চিত্রাকারে প্রদর্শন করা হতো। সেসব ফটো এক নজর দেখতে হুমড়ি খেয়ে পরতো শিশু কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধসহ সবশ্রেণীর মানুষ।
নাচের তালে তালে প্রদর্শকরা বলতেন, ‘চারিদিকে নজর কর এই বারেতে এসে গেল সুচিত্রা সেন দেখতে ভালো’। এসব কথা শুনে সব বয়সের মানুষ এই বিনোদন উপভোগ করত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সেই সময়ের জনপ্রিয় এই বিনোদন বাহক বায়োস্কোপ।
শুধু বাহকই নয়, ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ডিশ লাইনের আবির্ভাবে ছায়াছবি দর্শক অভাবে স¤প্রতি বন্ধু-বান্ধব এমনকি সপরিবারে বিনোদন উপভোগ করার অন্যতম মাধ্যম দেশের সিনেমা হলের একটি বড় অংশই ভেঙ্গে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চোয়ারম্যান আব্দুল হক আবু, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু, সান্তাহার মহলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু মুসা টুটুল বলেন, আমাদের শৈশবকালে গল্প শুনতাম সিনেমা হলে প্রচন্ড ভিড় হতো। তাই গ্রামে বা স্থানীয় মেলায় বায়োস্কোপ দেখানো হতো। আর সেটা দেখে সিনেমার খোরাক মিটাতাম। এখনকার ছেলে মেয়েরা এ বিষয়ে খুব একটা জানে না। বিশেষ কিছু বলতেও পারবে না। নতুন প্রজন্মের এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন