হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে ৩ সন্তানের জননী দাই নাছিমা বেগম (৪০) গনধর্ষনের শিকার হন। গতকাল এ ঘটানায় হিজলা থানায় মামলা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে নাছিমার মা নুরুনছো (৬০) ইনকিলাবকে জানান, নাছিমা একজন পেশাধারী দাই। ধর্ষকরা এলাকার পরিচিত। মোহাম্মদ আলী ও আয়নাল মাঝি গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর ডেলিভারি করানোর কাজে ডেকে নিয়ে জোড় করে একটি বাগানে মারধর করে তারা ৫-৬ জন পালাক্রমে নাছিমাকে ধর্ষণ করে ও মেরে ফেলতে চায়।
পাশের বাড়ির লোকজন জানায়, বাগানে লাইটের আলো দেখে আগাতে চাইলে ওদের বাঁধার মুখে তাকে উদ্ধার করতে পারে নাই। পরে আমরা ডাক চিৎকার দিয়ে বাগানে গিয়ে নাছিমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি। অবস্থা বেগতি দেখে পরদিন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা দাই নাছিমা বলেন, মুজাম্মেল মাঝি, আয়নাল মাঝী, মোহাম্মদ আলী বেপারী, খালেক বেপারী, সুলাইমান মাল আমাকে মারধর করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পুকুরে ফেলে দেয়। পুকুর থেকে ওঠে পাশের বাড়িতে ওঠলে আমাকে সেখান থেকে পুনরায় কোলে করে বাগানে এনে আবারো পালাক্রমে ধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে যায়। আমার জ্ঞান ফিরলে এ ঘটনা থানায় জানাই।
পুলিশ মোহাম্মদ আলী ও আয়নাল মাঝিকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ওসি জানান, এ ঘটানায় মামলা হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষিতা হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন