টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় স্ত্রী আয়শা আক্তারকে (৩০) হত্যার অভিযোগে পুলিশের এএসআই হামিদুল ইসলামকে নজরবন্দি করা হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এএসআই হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্ত্রী আয়শা আক্তারকে হত্যা করেছে বলে নিহতের ভাই রিমন দাবি করেছেন। অপর দিকে হামিদুল ইসলামের দাবি ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আয়েশা।
সোমবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল রোডের সাতুটিয়া গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আয়েশা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে লাশটি টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতর ভাই রিমন জানান, মুক্তাগাছা উপজেলার বিনোদবাড়ী গ্রামের ছোহরাব হোসেনের ছেলে এএসআই হামিদুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত অবস্থায় প্রায় ৪ মাস আগে আয়শাকে পরকীয়ার মাধ্যমে সন্তানসহ বিয়ে করেন। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলে আসছিল।
তিনি জানান, তার বড় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আমার বোনকে বিয়ে করেন। গত মঙ্গলবার ওই বউ বাসায় আসেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার বড় বউ ও এএসআই হামিদুল বালিশ চাপা দিয়ে আয়েশাকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচার করছেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানা ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত এএসআই হামিদুল ইসলাম নজরবন্দি রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন