নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরের বাজার এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই স্কুল ছাত্রের নাম পিয়াস মিয়া (১৬)। সে কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ও চল্লিশ কাহ্নীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পিয়াস মিয়া গত শনিবার রাতে স্থানীয় ফকিরের বাজারে একটি দোকানে বসে গল্প করছিল। রাত নয়টার দিকে তারই বন্ধু পার্শ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া তাকে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই রাতে রুবেলের বাড়িতে তার বড় বোনের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলছিল। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রুবেলের বাড়ির লোকজন পিয়াসকে অজ্ঞান অবস্থায় ফকিরের বাজারে একটি পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে সেখান থেকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে রাত তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসের মৃতদেহ গতকাল রোববার ভোরে তার গ্রামের বাড়ি কর্ণপুরে আনা হলে তার রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহল ও ধূ¤্রুজালের সৃষ্টি হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, ‘পিয়াসকে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ আর রুবেল ও তার পরিবারের লোকজনের দাবি, ‘পিয়াস বিয়ের বাড়িতে রাখা জেনারেটরের তারে জড়িয়ে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’ তবে এ ঘটনার পর গতকাল রোববার সকাল নয়টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে রুবেলদের পরিবারের অনেকেই গাঁ ঢাকা দেয়। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেলের দুই বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বেলা একটার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পিয়াসের চাচা ফজলু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত শনিবার রাতে রুবেল মিয়া পিয়াসকে তাদের বাড়িতে বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত একটার দিকে লোক মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পিয়াসকে ফকিরের বাজারে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পিয়াসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জেনারেটরের তারে মৃত্যু হতে পারে না। আর তা না হলে ঘটনার পর রুবেল তার ভাই নজরুল, জুয়েলসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে কেন আত্মগোপন করবে?’
রুবেলের এক চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী নিপা আক্তার ও বোনের জামাই মজিবুর রহমান জানান, ‘পিয়াস জেনারেটরের তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলে তার মৃত্যু হয়।’
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।’
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতানেত্রকোনায় স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুনেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরের বাজার এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই স্কুল ছাত্রের নাম পিয়াস মিয়া (১৬)। সে কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ও চল্লিশ কাহ্নীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পিয়াস মিয়া গত শনিবার রাতে স্থানীয় ফকিরের বাজারে একটি দোকানে বসে গল্প করছিল। রাত নয়টার দিকে তারই বন্ধু পার্শ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া তাকে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই রাতে রুবেলের বাড়িতে তার বড় বোনের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলছিল। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রুবেলের বাড়ির লোকজন পিয়াসকে অজ্ঞান অবস্থায় ফকিরের বাজারে একটি পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে সেখান থেকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে রাত তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসের মৃতদেহ গতকাল রোববার ভোরে তার গ্রামের বাড়ি কর্ণপুরে আনা হলে তার রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহল ও ধূ¤্রুজালের সৃষ্টি হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, ‘পিয়াসকে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ আর রুবেল ও তার পরিবারের লোকজনের দাবি, ‘পিয়াস বিয়ের বাড়িতে রাখা জেনারেটরের তারে জড়িয়ে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’ তবে এ ঘটনার পর গতকাল রোববার সকাল নয়টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে রুবেলদের পরিবারের অনেকেই গাঁ ঢাকা দেয়। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেলের দুই বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বেলা একটার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।পিয়াসের চাচা ফজলু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত শনিবার রাতে রুবেল মিয়া পিয়াসকে তাদের বাড়িতে বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত একটার দিকে লোক মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পিয়াসকে ফকিরের বাজারে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পিয়াসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জেনারেটরের তারে মৃত্যু হতে পারে না। আর তা না হলে ঘটনার পর রুবেল তার ভাই নজরুল, জুয়েলসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে কেন আত্মগোপন করবে?’ রুবেলের এক চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী নিপা আক্তার ও বোনের জামাই মজিবুর রহমান জানান, ‘পিয়াস জেনারেটরের তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলে তার মৃত্যু হয়।’ বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন