বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেলায় পিষ্ট আউটার স্টেডিয়াম

মুক্তি চান ক্রীড়ামোদিরা

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

শেষ হয়েছে খেলার মাঠে প্রায় দর্শকহীন তাঁতবস্ত্র ও জামদানি মেলা। মেলার স্টল, চরকি ইত্যাদি স্থাপনের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মাঠের অবস্থা এখন বেহাল। চারদিকে খানাখন্দ আর কাদামাটি। যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। গতকাল রোববার এই চিত্রই চোখে পড়লো চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে। এখানে মাসব্যাপী উক্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অথচ এ আউটার স্টেডিয়ামই জাতীয় পর্যায়ের অনেক খেলোয়াড় তৈরির নার্সারি।
ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবলসহ হরেক খেলাধুলায় প্রাণচঞ্চল থাকতো আউটার স্টেডিয়াম। চট্টগ্রাম তথা জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলার উন্নয়নে এ আউটার স্টেডিয়ামের অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন এ মাঠটি দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না এখান থেকেই খেলোয়াড় সৃষ্টি হতো। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি থেকে শুরু করে সবাই যেখানে খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিংবা আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন সেখানে এ মাঠে খেলার বদলে মেলা কেন? মেলা শেষ হওয়ার পর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, স্টলের জন্য ইট বিছিয়ে যে ফ্লোর তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো উঠিয়ে একপাশে সারি করে রাখা হচ্ছে। ফলে সমতল খেলার এ মাঠটি হয়ে গেছে এবড়োথেবড়ো। খেলার অযোগ্য। বাঁশ দিয়ে যে কাঠামো তৈরি করা হয় গতকাল থেকে সেগুলো খুলে নিতে দেখা যায়। এতে করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পেরেক ও পরিত্যক্ত সামগ্রী। মাঠজুড়ে অসংখ্য গর্ত।
বর্তমানে আউটার স্টেডিয়ামের যে অবস্থা তাতে খেলাধুলা আয়োজন করা মানে কোমলমতি শিশুদের নিশ্চিত দুর্ঘটনার মুখে ফেলে দেয়া। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্ররা অনুশীলন করতো এই মাঠে। তারা মাঠকে নিজেদের খরচে খেলার উপযোগী করে তুলেছিল। মাঠে থাকতো ক্রিকেটের উইকেট ও নেট। মেলার কারণে এসব একাডেমীর ছেলেরা অনুশীলন করতে পারছে না।
এই মাঠে যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গেলে অনুমতি নিতে হয় সিজেকেএস থেকে। অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করা যায় এটি। সিজেকেএস’র অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা মাঠ থেকে হয়েছেন ক্রীড়া সংগঠক। নিজেদের যোগ্যতা বলে বিভিন্ন ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠিত আছেন। এসব ব্যক্তিবর্গ মেলা কেন বন্ধ করতে পারলেন না। ক্রীড়ামোদিরা বলছেন, এটি এখন আর আউটার স্টেডিয়াম নেই। দেশের প্রায় আউটার স্টেডিয়াম সরব থাকে খেলাধুলায়। ব্যতিক্রম কেবল চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম। সদ্যসমাপ্ত বস্ত্র মেলা ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে এ মাঠে বসে মেলা। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ক্রীড়ামোদিদের দাবি মেলার পদভারে পিষ্ট আউটার স্টেডিয়ামের মুক্তি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন